শরীরের জন্য অপরিহার্য ভিটামিন ডি। এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। হাড় ও দাঁতের বিকাশেও সাহায্য করে এই ভিটামিন ডি।
সূর্যের আলোতে সবথেকে দ্রুত তৈরী হলেও বেশকিছু খাবার থেকেও আমরা ভিটামিন ডি পাই। তবে এসবের পর্যাপ্ত পরিমাণ যোগান না থাকলে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা যায়।
ভিটামিন ডি এর অভাবে কী কী সমস্যা হতে পারে?
ক্ষত নিরাময়ে অনেক সময় নেওয়া:
ভিটামিন ডি শরীরের যে কোনও ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। তবে শরীরে এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে ক্ষত নিরাময়ে অনেক সময় লাগে। তাই, যদি দীর্ঘদিন ধরে কোনও ক্ষতস্থান না শুকোয়, তাহলে ধরে নেওয়া যেতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে।
বিষণ্ণতা:
ভিটামিন ডি শরীরের পাশাপাশি মানসিক অবস্থার উপরও প্রভাব ফেলে।
শরীরে ভিটামিন ডি কম থাকার অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন।
ক্লান্তি:
শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে এনার্জিও থাকে না।
সব সময়ে ক্লান্তি বোধ হয়।
কম পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা যায়।
পিঠে এবং কোমরে ব্যাথা:
আজকাল শুধু বয়স্ক ব্যক্তিরাই নন, তরুণ প্রজন্মও পিঠ এবং কোমরের ব্যাথার সমস্যায় জর্জরিত।
দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করার কারণে পিঠে, কোমরে ব্যথা হয়।
ভিটামিন এর অভাব থাকলে সে সমস্যা আরো বাড়বে।
ত্বকের সমস্যা:
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি না থাকলে ত্বকে ফুসকুড়ি এবং ব্রণের সমস্যা বাড়তে থাকে।
এছাড়া ত্বকের বয়সও খুব দ্রুত বেড়ে যায়।
চুল পড়া:
ভিটামিন ডি এর অভাবে চুল পাতলা হয়ে যায়, সহজে ভেঙ্গে যেতে পারে।
এছাড়াও চুল পড়ার হার ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে কী খাবেন?
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে হলে মাশরুম, ডিম, কমলার রস, পনির, চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন, টুনা এবং ম্যাকরেল, দুগ্ধজাত খাবার যেমন দই, দুধ, সিরিয়াল, সয়া জুস ইত্যাদি খান।
এ ছাড়া ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও নেওয়া যেতে পারে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া না খাওয়াই শ্রেয়।
Comments