'যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে' - ঘরে বাইরে সবটা একহাতে, চরম পারদর্শী তার সঙ্গে সামলে, সমাজের প্রতি ও দায়িত্ব পালন করেন তাঁরা। তাঁরা দশভূজা। মেয়ে মানেই মায়ের আরেক রূপ। তাঁরা যেখানেই থাকেন, সুন্দরতা ছড়ান।

হাসিমুখে, দশহাতে সামলান চারিদিক। এমনই কিছু সংস্কৃতি মনস্ক নারীদের প্রচেষ্টায় বসন্ত উৎসব এর আয়োজন হয়েছিল ১৪ মার্চ, দোল পূর্ণিমার দিন সকালে। সকাল ৯টা থেকে এইদিন চলেছে দোলের উৎসব, দিনভর চলেছে আবীর খেলা, পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ও আয়োজন করা হয়েছিল।

দোল মানেই আবিরে-রঙে বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার দিন। নাচে-গানে-কবিতায় রঙিন আনন্দে সবাইকে রাঙিয়ে দেওয়ার দিন। দোলের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৭ সালে ঋতু-উৎসবের সূচনা করেছিলেন, তবে তা দোলের দিন অনুষ্ঠিত হয়নি।

তারপর বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন তিথিতে শান্তিনিকেতনের আশ্রমে বসন্ত উদ্যাপন হয়েছে। বসন্তের গান গাইতে গাইতে আশ্রম পরিক্রমার রেওয়াজ ও ছিল বলে জানা যায়। সেই থেকে আজও দোল পূর্ণিমার দিন দলবদ্ধ ভাবে নাচে গানে বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার উৎসব প্রতি বছর চলে আসছে। এবছর ডায়মন্ড সিটি নর্থ এ "দশভূজা" আয়োজিত এমনই এক অপূর্ব সমারোহের সাক্ষী থাকলেন সকলে।

Comments