আপনি সারাদিনে যতটা তরল গ্রহণ করেছেন তার থেকে বেশি যদি আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে যায় তখন শরীরে যে অবস্থার সৃস্টি হয়, সেটাই ডিহাইড্রেশন। যে কেউ ডিহাইড্রেশনের শিকার হতে পারে। তবে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থদের ডিহাইড্রেটেড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে এই গরমে বাইরে কাজে বেরোচ্ছেন যাঁরা, তাঁরাও সাবধান থাকবেন ডিহাইড্রেশন থেকে।
গরম আবহাওয়ায় অতিরিক্ত ব্যায়াম করা, ডাইরিয়া, বমি হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া বা অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া- এসবই ডিহাইড্রেশনের কারণ। দেহের নানান লক্ষণ দেখে ডিহাইড্রেশনের পরিমাণ বোঝা যায়, কম থেকে মাঝারি ডিহাইড্রেশন হলে। আলস্য, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, তৃষ্ণা, কম প্রস্রাব হওয়া, ড্রাই স্কিন, মাথা ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেশিতে টান ধরা ইত্যাদি হতে দেখা যায়।
ক্রনিক ডিহাইড্রেশন হলে: সাংঘাতিক তেষ্টা পাওয়া, কনফিউশন, প্রস্রাব কম হওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া, লো ব্লাডপ্রেশার, হার্টবিট
বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হয়ে যাওয়া, দেহের ইলাস্টিসিটি কমে যাওয়া, ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
সময় থাকতে এর চিকিৎসা না করা হয় তাহলে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কিন্তু আপনি মাইন্ড ডিহাইড্রেশনের চিকিৎসা বাড়িতেই করতে পারবেন।
১.বেশি করে জল খান
ডিহাইড্রেশন দূর করার প্রথম পদক্ষেপ হল জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো। জল তেষ্টা না পেলেও জল খান। চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী টেম্পারেট ক্লাইমেটে বসবাসকারী একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের রোজ প্রায় ৩ লিটার জল খাওয়া উচিৎ। সম্ভব না হলে অন্তত ২ থেকে ২.২ লিটার জল খেতেই হবে।
২.বাড়িতেই বানান ওআরএস:
ডিহাইড্রেশনের সময় শরীরের ফ্লুইড ও মিনারেলের ঘাটতি দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে ঘরে তৈরি ওআরএস ভীষণ কার্যকরী।
ঘরে ওআরএস বানানোর জন্য ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করা ৪ কাপ বিশুদ্ধ জলে ১/২ চা চামচ নুন ও ৬ চামচ চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিন। তাহলেই তৈরি আপনার ওআরএস, এটা সারা দিনে তিন-চারবার পান করুন। এছাড়া আপনি বাজার থেকে কেনা ওআরএস-ও পান করতে পারেন।
৩.টকদই খেতে পারেন:
বমি কিংবা ডায়েরিয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন হলে টকদই ভালো কাজ দেয়। এটা পাকস্থলীকে আরাম দেয় ও সহজে হজমও হয়ে যায়। দিনে কয়েকবার টকদই খেতে পারেন।
এছাড়া সাদা ভাতের সঙ্গে টকদই ও সামান্য নুন মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে রাতে বেশি না খাওয়াই ভালো।
৪.হাইড্রেটেড ফল ও সবজি খান:
কম থেকে মাঝারি ডিহাইড্রেশন হলে হলে জলের ভাগ বেশি আছে এমন ফল বা সবজি খেতে পারেন। এতে আপনি খুব তাড়াতাড়ি হাইড্রেটেড হতে পারবেন। তরমুজ, আঙুর, কমলা লেবু, শশা, পেঁপে, লেটুস, মূলো, পালং শাক, জুকিনি, টোম্যাটো ইত্যাদিতে বেশি পরিমাণে জল ও মিনারেল থাকে। আপনি এই ফল বা সবজি স্যালাড বা স্মুদিতেও ব্যবহার করতে পারেন।
৫.কলা:
মাইল্ড ডিহাইড্রেশন হলে কলা খেতে পারেন। অনেক সময় কিছু মিনারেলের অভাবেও ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
আরো কিছু টিপস:
• সুযোগ পেলেই কোনও ঠাণ্ডা জায়গায় বিশ্রাম করুন।
• বাইরে বেরোলে সবসময় জলের বোতল আর ছাতা সঙ্গে দিন।
• ডিহাইড্রেশন হলে কফি, সোডা বা সফট ড্রিঙ্কস ভুলেও খাবেন না।
• ডিহাইড্রেশন হয়ে থাকলে আলকোহল থেকে দূরে থাকবেন। অতিরিক্ত ফলের রস খাবেন না। এতে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
• বাইরে বেরোতে হলে হালকা রঙের সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
মায়ের হাতের রান্না
সুস্মিতা মিত্র
নিজের বাড়ি, বিছানা, রংচটা দেওয়াল, মায়ের হাতের রান্না, এসবের মায়া কাটিয়ে আবার ফেরা বড্ড কষ্টের। বাড়ি থেকে দূরে থাকা মানুষগুলো অনেক বেশি বেশি করে বোঝে এটা। কিন্তু উপায় নেই! ছুটিতে বাড়িতে গিয়েও বার বার মাথায় ছুটি শেষের ঘন্টা বাজতে থাকে। ফেরার সময় মনে হয় কত কি করা বাকি থেকে গেল। পরের বার এলে আরো কি কি করবো। কি জানি আবার কবে আসা হবে! আবারও দিন গোনার পালা।
পছন্দের রেস্তোরাঁয় এবং অন্যান্য অনেক জায়গায় অনেকেই রেঁধে বেড়ে খাওয়ায় কিন্তু এইভাবে ভালোবেসে যত্ন করে সবথেকে ভালো খাবার গুলো সন্তানের পাতে তুলে দেওয়ার পরেও নিজের ভাগ থেকে আরো কিছুটা পাতে তুলে দিয়ে "তুই খা আমার অত ভালো লাগে না" এটা শুধু "নিজের মা' ই" বলতে পারে। তাই "মায়ের মতো" কথাটাতে আমার বড় আপত্তি। সোনার পাথরবাটি, হয় নাকি আবার! হুহ! মায়ের থেকে শেখা আমার প্রিয় ১০ টি রান্না রইলো আজ আপনাদের জন্য।
পদ্মার ইলিশ ভাঁপা
কীভাবে বানাবেন
সর্ষে কাঁচালঙ্কা আর একটু নুন শিলপাটায় বেটে দরাজ হাতে ঘানি থেকে ভাঙ্গানো ঝাঁঝালো সর্ষের তেল, নুন আর হলুদ গুঁড়ো মাছে মেখে ওপর থেকে হাত ধোঁয়া জল ছড়িয়ে স্টিলের টিফিন কৌটো করে ভাতের মধ্যে ভাঁপানো তুলতুলে পদ্মার ইলিশ। মা বানিয়েছে, আমি আর ভাই স্নান করে এসে কাঁসার থালায় ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতে মেখে খেয়েছি।
বেগুন বড়ি দিয়ে পাবদার ঝাল
কীভাবে বানাবেন:
পাবদা মাছ নুন, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা সরষের তেল মেখে রাখুন ১০ মিনিট। তেল ভালো করে গরম করে ভেজে তুলে নিন। বড়ি আর বেগুন আলাদা আলাদা ভাবে ভেজে তুলে নিন। কালোজিরা কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে একে একে নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো অল্প জল দিয়ে কষুন। পরিমাণ মতো জল, ভাজা মাছ, বেগুন, বড়ি দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। একটু গা মাখা ঝোল করবেন, ভালো লাগবে।
মুরগীর লাল ঝোল
কীভাবে বানাবেন:
পেঁয়াজ, আদা, রসুন, টমেটো, জিরে, শুকনো লঙ্কা, মৌরি একসাথে বেটে নিন। মাংসে এই মশলা, নুন, হলুদ গুঁড়ো, সরষের তেল মাখিয়ে রাখুন সারারাত। তেল গরম করে আলু নুন হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভেজে তুলে নিন। তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরা ফোড়ন দিয়ে মেখে রাখা মাংস ওর মধ্যে ঢেলে কষুন। তেল ছাড়লে ভাজা আলু আর খুব অল্প গরম জল দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। ঝোল ঘন হয়ে তেল ভেসে উঠলে ঘি আর গরমমশলা বাটা মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
মাছের পাতলা ঝোল
কীভাবে বানাবেন:
তেল গরম করে প্রথমে মাছগুলো নুন হলুদ মেখে সাঁতলে তুলে নিন। তাতে পাঁচফোড়ন দিয়ে লম্বা করে কাটা আলু, পেঁয়াজ কুচি, নুন, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা কুচি, আদা জিরে বাটা দিয়ে কষুন। ঢেকে অল্প আঁচে রান্না করুন। তেল ভেসে উঠে আলু নরম হলে পরিমাণ মতো জল দিয়ে ফুটতে দিন। ভাজা মাছ গুলো দিয়ে ঢেকে আরো কিছু সময় রান্না করুন। বেশ ঘন হলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
সর্ষে পোস্ত দিয়ে বোয়াল মাছের ঝাল
কীভাবে বানাবেন:
মাছ গুলো নুন, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা সরষের তেল অথবা শুকনো আটা মেখে রেখে দিন ৫ মিনিট। সরষের তেল গরম করে খুব হালকা করে ভেজে তুলে নিন। তেলে কালোজিরা দিয়ে সরষে পোস্ত কাঁচালঙ্কা বাটা, নুন, হলুদ গুঁড়ো, অল্প জল দিয়ে মাছ গুলো সাবধানে পাশাপাশি সাজিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে রান্না করুন। ৫-৬ মিনিট পর একটু কাঁচা সরষের তেল আর চেরা কাঁচালঙ্কা দিয়ে নামিয়ে নিন। ওইভাবে আধঘন্টা রেখে দিলে ওপরে তেল ভেসে উঠবে, তখন পরিবেশন করবেন। এই একই রান্না ভেটকি, আড়, রুই, পার্শে, পাবদা এসব দিয়েও হবে।
মোরগ পোলাও
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে বাসমতি চাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। জলে তেজপাতা, গোটা গরম মশলা আর নুন দিয়ে ফুটিয়ে চাল দিয়ে আধ সেদ্ধ করে নামিয়ে নিন। মাংস, টকদই, আদা রসুন বাটা, বিরিয়ানী মশলা, নুন মেখে রাখুন ১০ মিনিট। সাদা তেল আর ঘি মিশিয়ে গরম করে তাতে তেজপাতা, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে অল্প ভেজে, মেখে রাখা মাংস দিয়ে কষুন। মাংসের গায়ে একটু লাল দাগ মতো হবে এমন ভাবে ভাজবেন। ৩-৪ মিনিট পর আধ সেদ্ধ ভাত, এক মুঠো কড়াইশুঁটি(সম্পূর্ণ ভাবে ঐচ্ছিক, অন্য সবজি ও দিতে পারেন), চেরা কাঁচালঙ্কা দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢেকে অল্প আঁচে রান্না করুন। কোনো জল দিতে হবে না। মাংস থেকে বের হওয়া জলেই রান্না হয়ে যাবে। এবার চাল সেদ্ধ হলে চিনি, গরমমশলা গুঁড়ো মিশিয়ে আরো কিছু সময় রান্না করুন। একটু ভেজা ভাব থাকা অবস্থায় গ্যাস বন্ধ করে দেবেন, পরে ঝরঝরে হয়ে যাবে। ওপর থেকে ভাজা পেঁয়াজ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। সাথে সেদ্ধ ডিমের টুকরো'ও দিতে পারেন।
পেঁপে দিয়ে মুরগীর পাতলা ঝোল
কীভাবে বানাবেন:
আলু নয়, পেঁপে দিয়ে। মাংস, আদা রসুন বাটা, নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, সরষের তেল মেখে রাখুন একঘন্টা অথবা সারারাত। সরষের তেল গরম করে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, জিরা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজুন। এবার মেখে রাখা মাংস, চেরা কাঁচালঙ্কা, সামান্য চিনি আর বড় বড় টুকরো করা পেঁপে দিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়ুন। পরিমাণ মতো গরম জল দিয়ে ২ টো সিটি দিয়ে ওইভাবে রেখে দিন। পরিবেশনের আগে একটু ঘি আর ছোট এলাচ বাটা মিশিয়ে ২ মিনিট ঢেকে রাখবেন। পেঁপের জন্য এমনিতেই মাংস খুব ভালো সেদ্ধ হয়, তাই টকদই বা টমেটো এসব দেওয়ার দরকার নেই। গরম ভাত অথবা রুটি দুটোর সঙ্গেই বেশ মানানসই এই পেঁপে দিয়ে মুরগীর পাতলা ঝোল।
কলাপাতায় মোড়া কোলকাতা ভেটকির পাতুরি
কীভাবে বানাবেন
সাদা কালো সরষে, পোস্ত, নারকেল, কাঁচালঙ্কা মিহি করে বেটে তাতে নুন, চিনি, হলুদ গুঁড়ো আর সরষের তেল মেশাতে হবে। মাছের টুকরোগুলো দিয়ে ওইভাবে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর সেঁকে নেওয়া কলাপাতায় তেল মাখিয়ে মাঝে মশলা মাখানো কাঁটা ছাড়া মাছের টুকরো রেখে সাবধানে মুড়ে নিন। সুতো দিয়ে বাঁধতে পারেন ইচ্ছে হলে, নয়ত মুড়ে সাবধানে তেল ব্রাশ করা ননস্টিক প্যানে রেখে উল্টে পাল্টে সেঁকে নেবেন। বেশ একটু পোড়া ফ্লেভার এলে খেতে ভালো লাগবে। স্টিলের টিফিন বক্সে পুরে'ও ভাপিয়ে নিতে পারেন, যেমন আপনার সুবিধে করবেন। এক'ইভাবে লাউ পাতা, চাল কুমড়ো পাতা, হলুদ পাতা কিম্বা দুধ মানকচু পাতাতেও করতে পারেন। সেক্ষেত্রে পাতাগুলো গরম জলে ডুবিয়ে নরম করে নিতে হবে। আর ভেটকির বদলে এই রেসিপিটি চিংড়ি, কাতলা, কাঁচকি, বোয়াল, চিকেন কিমা, ডিম, নিদেনপক্ষে পনীর দিয়েও হবে।
হাতে মাখা মশলায় পুঁটির ঝাল:
কীভাবে বানাবেন:
বেশ অনেকটা পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, চেরা কাঁচালঙ্কা, নুন, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো চটকে মেখে নিন। পেঁয়াজ বেশ নরম হলে ওতে কালোজিরা, সরষের তেল আর মাছ দিয়ে মেখে রাখুন কিছুক্ষণ। এবার একটা ননস্টিক প্যানে প্রথমে মশলা ছড়িয়ে ওপরে মাছগুলো পাশাপাশি সাজিয়ে দিন। এবার খুব অল্প আঁচে ঢেকে রান্না করুন। নীচে লেগে যাচ্ছে বুঝলে অল্প জলের ছিটে দিয়ে নেড়েচেড়ে দেবেন। হয়ে গেছে বুঝলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
আম কাসুন্দি কাতলা
কীভাবে বানাবেন:
প্রথমে মাছ ধুয়ে নুন হলুদ মেখে রাখুন। এবার চারমগজ, পোস্ত, কাঁচালঙ্কা বেটে নিন। একটা বড় বাটিতে এই মিশ্রণ, আম কাসুন্দি, নুন, কালোজিরা, চিনি, হলুদ গুঁড়ো, চেরা কাঁচালঙ্কা একসাথে ফেটিয়ে নিন। জলের প্রয়োজন বুঝলে দুধ ব্যবহার করবেন। এবার ননস্টিক প্যানে মাছগুলো পাশাপাশি বসিয়ে ওপরে এই মিশ্রন ঢেলে ঢেকে খুব ধিমে আঁচে রান্না করুন। হয়ে গেছে বুঝলে ওইভাবেই রেখে দিন পরিবেশনের আগে পর্যন্ত।
Comments