top of page

জম্মু কাশ্মীর ভ্রমন, সঙ্গে কাশ্মীরি রান্না..

ইচ্ছে সফরের শুরু হোক পাহাড়ী স্বপ্নের হাত ধরে..



ডাল লেক

শহরের কেন্দ্র থেকে ৮ কিমি ও টুরিস্ট রিসেপশন সেন্টার থেকে মাত্র আধ কিমি দূরে শ্রীনগর তথা কাশ্মীরের চোখের মণি তথা প্রাচ্যের ভেনিস ডাল হ্রদ। এই লেকের মাঝেই ভেসে আছে শয়ে শয়ে হাউস বোট। থাকা-খাওয়ার বিবিধ ব্যবস্থা থাকে এখানে। হ্রদের মাঝে হাউস বোটে থাকার অভিজ্ঞতাই অনবদ্য। শিকারা চড়ে সারাদিন হাজারো দোকানদার তাদের পসরা সাজিয়ে আসে বোটে বোটে। ডালের পাড়ে বুলেভার্ড রোডে এসে দাঁড়ালেই অবাক হতে হয় রঙিন এই ভ্রমণ কেন্দ্র দেখে। ডালের উত্তর পাড় বরাবর রয়েছে একাধিক মোঘল বাগিচা, সেগুলিতে বসেও কিছু সময় কাটাতে পারেন। এর পশ্চিম দিকে রয়েছে হজরতবাল মসজিদ।

যোগাযোগঃ হাউসবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (ট্রারিস্ট রিসেপশন সেন্টারের বিপরীতে) শ্রীনগর-১৯০ ০০১।

ফোন- ০১৯৪- ২৫০২৫৪৫, ২৫০২২৫১।

কবুতরখানা

অদূরে কবুতরখানা দ্বীপ। এখানেই রাজা রাজরাদের শখের পায়রা পোষা হত। এই দ্বীপে যাওয়ার অনুমতি নেই, দূর থেকেই দেখে নিতে হয় কবুতরখানা।

নেহেরু পার্ক

ডালের একদিকে গাগরিবালে তৈরি করা হয়েছে নেহেরু পার্ক। শঙ্করাচার্য পাহাড়ের নীচে এই পার্কের পরিবেশ খুব আকর্ষনীয়। জওহরলাল নেহেরুর বন্দীবাসের স্মৃতি হিসেবে তৈরি এই পার্কে আলোর রোশনাই দেখার মতো।

হরি পর্বত

শ্রীনগর থেকে ৫ কিমি দূরে হরি পর্বত। এর উচ্চতা খুব একটা বেশি নয়। এই পর্বতের শিখরে দেখে আসতে পারেন ১৫৮৬- সালে তৈরি আকবরের দূর্গ।

চশমাশাহী চারচিনার

হ্রদের মাঝামাঝি শাহজাদা মুরাদের হাতে রোপন করা চারটি

চিনার গাছ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। লাগোয়া দ্বীপটির নাম হয়েছে চারচিনার দ্বীপ। শিকারা চড়ে আসা যায় এখানে।

১৬৩২ সালে শাহজাহানের নির্দেশে ভাল লেকের ধারে রাজকীয় প্রস্রবণকে ঘিরে আলি মর্দীন খান তৈরি করেন সুন্দর চশমাশাহী। স্থানীয়রা একে চেশমাশাহী বলে থাকেন। এখানকার জলে নানান কঠিন রোগ সেরে যায় বলে স্থানীয় মানুষের ধারণা।

নিশাত বাগ

মোঘল আমলের আরও এক কীর্তি নিশাত বাগ। প্রমোদ উদ্যান হিসেবে তৈরি এই বাগিচায় এখনও সেকালের কারুকার্য করা বাড়ি- ঘর দেখা যায়। ১৬৩২ সালে নুরজাহানের ভাই আসফ খান ১২ ধাপের এই বাগিচা নির্মান করান।

এছাড়াও শ্রীনগরে হরওয়ান, শালিমার বাগ, নাসিম বাগ, হজরতবাল

মসজিদ, শ্রী প্রতাপ সিং মিউজিয়াম, জুম্মা মসজিদ, বাদশাহ,

শঙ্করাচার্য পাহাড়, গাগরিবাল পার্ক, শাহ হামদান মসজিদ, পাথর

মসজিদের মতো ঐতিহাসিক স্থানগুলি দেখে আসতে পারেন।

কীভাবে যাবেন

কলকাতা থেকে সরাসরি শ্রীনগর যাওয়ার কোনও বিমান নেই। দেশের যেকোনও স্থান থেকে প্রথমে দিল্লি তারপর সেখান থেকে বিমানে শ্রীনগর। এয়ারপোর্ট থেকে শহরের কেন্দ্র ১৪ কিমি দূরে। প্রতিদিন ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স ও জেট এয়ারওয়েজের থেকে বিমান শ্রীনগরে যায়।

ট্রেনে যেতে চাইলে জম্মু-তাওয়াই নেমে ১০ কিমি দূরে টুরিস্ট

রিসেপশন সেন্টারে যেতে হয়, সেখান থেকে সারাদিন ২৯৩ কিমি দূর শ্রীনগর যাওয়ার সরকারি-বেসরকারি নানান বাস পাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন

পর্যটন দপ্তরের হোটেল কাশ্মীর রেসিডেন্সি- (০১৯৪) ২৫৪৭৯৩০, এছাড়াও আরো অনেক হোটেল পেয়ে যাবেন।

রঘুনাথজির মন্দির

এই মন্দিরটি শহরের প্রধান আকর্ষণ, এর দেওয়াল সোনা দিয়ে মোড়া, সঙ্গে রয়েছে মার্বেল ও রঙিন পাথরের কারুকার্য আর রকমারি দেওয়ালচিত্র। এই মন্দিরে রাম, লক্ষ্মণ ও সীতা পূজিত হন।

বাহু দুর্গ ডোগরা রাজা বাহুলোচনের হাতে তৈরি এই দুর্গটি আজ জম্মুর অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এ চত্বরে অজস্র বানরের বাসা আজ। প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত বহু দুর্গের প্রবেশদ্বারের ঠিক কাছেই রয়েছে আকবরের তৈরি মসজিদ। দুর্গের অভ্যন্তরে রয়েছে বাওয়ে ওয়ালি মাতা বা মা কালীর মন্দির।

ডোগরা আর্ট মিউজিয়াম

ঘুরতে ঘুরতে দেখে নেওয়া যায় ১৯৫৪-য় নির্মিত বাসোলী ও ডোগরাশিল্পকর্মে সমৃদ্ধ সংগ্রহশালাটি। ৬০০-র অধিক ছবি, ভাস্কর্য ও নানান হস্তশিল্পের নিদর্শন দেখতে পাবেন। সোমবার বাদ দিয়ে বাকি দিন খোলা থাকে। গরম কালে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ পর্যন্ত ও শীত কালে সকাল ১০টা ৩০ থেকে ১.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে।

অমরমহল প্রাসাদ

১৯০৭ সালে ফরাসি স্থাপত্য শৈলীতে গড়ে ওঠা এই প্রাসাদে দেখতে পাবেন রাজ পরিবারের ব্যবহার করা আসবাবপত্র, বইপত্র, মিনিয়েচার ছবির সংগ্রহ। সোমবার বাদ দিয়ে বাকি দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা ও দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই মিউজিয়াম।

কীভাবে যাবেন

কলকাতা থেকে জন্ম যাওয়ার সরাসরি কোনও বিমান নেই, দিল্লি হয়ে যেতে হয়। সরকারি বা বেসরকারি বিমান প্রায় প্রতিদিনই জন্ম যাতায়াত করতে থাকে। এয়ারপোর্ট থেকে মূল শহর মাত্র ৭ কিমি। অটো বা ট্যাক্সি সহজেই পেয়ে যাবেন।

কলকাতা স্টেশন থেকে রোজ ১১.৪৫-এ ১৩১৫১ জন্ম-তাওয়াই এক্সপ্রেস ছাড়ে ও পৌঁছায় তৃতীয়দিন সকাল ৮.৩৫-এ। হাওড়া থেকে ১২৩৩১ হিমগিরি এক্সপ্রেস ২৩.৫৫-তে ছাড়ে ও তৃতীয়দিনে ১২.৩৪- এ জম্মুতে পৌঁছায়। গ্রীষ্মকালে ও পুজোর সময় বিশেষ ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া কলকাতা থেকে দিল্লি ও সেখান থেকে জন্ম যাওয়ার জন্য ১১০৭৭ ঝিলাম এক্সপ্রেস পাওয়া যায়। মুম্বই থেকে সরাসরি জন্ম আসার ট্রেন মুম্বই-জন্ম স্বরাজ এক্সপ্রেস। ভারতের সমস্ত বড়ো বড়ো শহরের সঙ্গেই রেলপথে যোগাযোগ রয়েছে জন্মর। জন্ম স্টেশন থেকে শহরের দূরত্ব মাত্র ৭ কিমি। এছাড়া দিল্লি থেকে ১ ও ১৩ জাতীয় সড়ক পথ দিয়ে বাসেও জম্মুতে যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন

জম্মু-কাশ্মীর পর্যটনের অতিথিশালা- ০১৯১-২৫৭৯৫৫৪, ২৫৪৯০৩৫, এছাড়াও আরও অনেক হোটেল পেয়ে যাবেন।

মানস সরোবর

জন্ম থেকে গাড়িতেই ঘুরে আসতে পারেন সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা মানস সরোবর বা মানসর হ্রদে। চারিদিক দিয়ে পাহাড় ও পাইন গাছে ঘেরা এই হ্রদের কাছে গেলেই শান্তি পাবেন। পান্না সবুজ জলের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিতে পারবেন অনেকটা সময়। বোটিং-এর

ব্যবস্থাও রয়েছে।

কীভাবে যাবেন

জন্ম থেকে মানসরের দূরত্ব ৮০ কিমি। সার্ভিস বাস আছে এই রুটে। মানসর থেকে ১৪ আর জন্ম থেকে সরাসরি ৪০ কিমি দূরে সনাসর। জন্ম বা মানসর থেকে বাস পাওয়া যায় এখানে পৌঁছানোর।

আলপাথার লেক

তিন কোনা এই লেকের পাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার মতো। সবুজ জলে সাদা বরফের ভেসে বেড়ানো আপনাকে মুগ্ধ করবে। কাছেই রয়েছে আফারওয়াট পাহাড়।

কীভাবে যাবেন

খিলেনমার্গ থেকে আলপাথারের দূরত্ব ৮ কিমি। ঘোড়ার চড়ে বা পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে হয় গন্তব্যে।

কোথায় থাকবেন

লেকের আশেপাশে বা খিলেনমার্গে কোনও থাকার জায়গা নেই। ফলে গুলমার্গে একটি রাত কাটাতেই হয়।

নিঙ্গেল নামা, ফিরোজপুর নালা, কান্টারনাগ হ্রদ আফার ওয়াট ও আলশামার পাহাড়ের বরফ গলা জল প্রবাহ নিলেনামা দেখে নেওয়া যায় গুলমার্গে থাকার সময়। কাছেই ঝিলাম নদীর সঙ্গে মিশেছে। কিছুটা এগোলেই পৌঁছে যাবেন লিয়েন মার্গে।

আরও কিছুটা এগোলে দেখতে পাওয়া যাবে ফিরোজপুর নালা। এই পাহাড়ি নদীতে ট্রাউট মাছের চাষ হয়।

কীভাবে যাবেন গুলমার্গ থেকে ঘোড়া বা পায়ে হেঁটে বেরিয়ে দেখে নেওয়া যায় নিঙ্গেল নামা থেকে তোষ ময়দান সবই।

কোথায় থাকবেন

রাস্তায় কোথাও থাকার জায়গা পাবেন না। গুলমার্গেই থাকতে হবে।

উলার, মানসবল লেক

কাশ্মীরের সৌন্দর্য দেখতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও উলার লেকে ঘুরেআসবেন। প্রকৃতির তৈরি এই হ্রদের চারপাশে হিমালয় পর্বতমালার নানান গিরি শিখর। লেকের জলে পদ্ম ফুলের সমারোহ। লেকের পাড়ে গড়ে উঠেছে বসতি। বোটিং-এর সুবিধাও আছে তবে বিকেলের দিকে বোটিং না করাই ভালো। কাছেই বাকিপুর নালা। ঝিলাম নদী এখানেই মিশেছে উলারে।

কীভাবে যাবেন

শ্রীনগর থেকে ২৭ কিমি দূরে পাঠান আর উলার লেকের দূরত্ব ৫১ কিমি। অন্য পথ দিয়ে ফেরার সময় মানসবল লেক দেখে নেওয়া যায়, শ্রীনগর থেকে গান্দেরবাল হয়ে দূরত্ব ৩০ কিমি। গাড়ি ভাড়া পড়বে মোটামুটি প্রায় ২০০০-২৫০০ টাকা।

প্যাংগং লেক

এশিয়ার বৃহত্তম লোনা জলের লেক প্যাংগং দেখার অভিজ্ঞতা বেশ কয়েক বছর ধরে তুলতে পারেন না ট্যুরিস্টরা। সকালে না গিয়ে বিকেলে গেলে এই ১৩৫ কিমি দীর্ঘ লেকটির অনবদ্য রূপ দেখতে পাবেন। কারণ সূর্যের আলো যাওয়ার সঙ্গে ক্ষণে ক্ষণে এই লেকের পরিবেশের রঙ বদলায়। লেক দেখতে যাওয়ার সময় চাংপাদের গ্রাম তাংসেও দেখে আসতে পারেন।

কীভাবে যাবেন

লে শহর থেকে প্রায় ১৫০ কিমি দূরে প্যাংগং লেক। ১১৪ কিমি দূরে তাংসে। এক রাত থাকতে হতে পারে এখানে। পরদিন সকাল সকাল জিপসি বা বাসে চেপে পৌঁছে যাওয়া যায়। লে শহরের ডেপুটি কমিশনারের অনুমতি নিয়ে যেতে হয় প্যাংগং-এর পথে। যাওয়ার সময় ভারতীর নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র ও দু'কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সঙ্গে রাখুন।

কোথায় থাকবেন

লেকের পাড়ে তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা আছে। ২ কিমি দূরে লুকং- এ সামরিক বাহিনীর ভিআইপি গেস্ট হাউসেও থাকতে পারেন। তাংসেতে রাতে থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ডি-র বাংলো, বেসরকারি হোটেল।

বৈষ্ণোদেবী

জন্ম থেকে ৬২ কিমি দূরে ভারতের অন্যতম হিন্দু তীর্থস্থান বৈষ্ণোদেবী। ২১১২ মিটার উঁচুতে গুহার ভেতরে মন্দিরটি প্রায় ৭০০ বছরের পুরানো। অনেকের ধারণা, মহিষাসুর বধের পর এই গুহাতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন দেবী। বৈষ্ণোদেবীর গুহায় পৌঁছানোর আড়াই কিলোমিটার আগে ভৈরবনাথ মন্দিরটিও দেখে নেওয়া যায় এ সুযোগে। কীভাবে যাবেন

জম্মু থেকে বাসে ১এ জাতীয় সড়ক ধরে পৌঁছাবেন ৩০ কিমি দূরস্থ ডোমেল, সেখান থেকে আরও ১৮ কিমি গেলে কাটরায় পৌঁছাবেন। জন্ম থেকে কাটরা যেতে ২ ঘন্টা সময় লাগে। যাতাযাত খরচ মোটামুটি ১৮০০-২০০০ টাকা। বাসস্ট্যান্ড থেকে সকাল ৫.৩০ থেকে রাত ৮.৩০ পর্যন্ত কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর এ রুটের বাস পাওয়া যায়। কাটরা থেকে ঘোড়া বা ডান্ডিতে চেপে বা পায়ে হেঁটেও বৈষ্ণোদেবী দর্শন করা যায়। কাটরা থেকে হেলিকপ্টারেও যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন

কাটরায় এলে মিলবে পর্যটন দপ্তরের হোটেল সিটি রেসিডেন্সি- (০১৯৯১) ২৫৪৯০৬। সরকারি ট্যুরিস্ট বাংলো-(০১৯৯১) ২৩২০০৯


কাশ্মীরি রান্না..

কাশ্মীরি ল্যাম্ব কারি


কী কী লাগবে

ল্যাম্ব ৭০০ গ্রাম, জল ২ ১/২ লিটার, রসুন বাটা ১ ১/৪ চা চামচ, মোট এলাচ ৮টি, বড় এলাচ ৪টি, লবঙ্গ ৬টি, হলুদ গুঁড়ো ২ চা চামচ, আদা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, ভাজা পেঁয়াজ বাটা ১ ১/২ টেবিল চামচ, দই ১ কাপ, কাশ্মীরী লম্বা গুঁড়ো ২ চা চামচ, দেশী ঘি ১/২ কাপ, কালোজিরে ১/২ চা চামচ, শুকনো পুদিনা পাতা ১/২ চা চামচ, শুকনো কুক্সকম্ব পাউডার ১/২ কাপ, নুন স্বাদ অনুযায়ী।




কীভাবে বানাবেন

জল ফুটে উঠলে তাতে মাংস দিন। মাংস ভালো করে সেদ্ধ হয়ে এলে তাতে নুন, ঘি ও বাকি সব উপকরণ একে একে দিয়ে ফোটাতে থাকুন। এবার আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন মাংস নরম হয়ে এলে তাতে কুক্সকম্ব পাউডার ও কালোজিরে ভালো করে মিশিয়ে নিন। পুদিনা পাতা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।

নদরু ইয়াখনি


কী কী লাগবে

১ কাপ মতো পদ্মের ডাঁটা দিয়ে (কাটা), ৪ টে কাচা লঙ্কা, ২ টি এলাচ, ২ টি কালো মরিচ, ৪টি লবঙ্গ, অল্প মৌরি ও সা জিরে, আধ ইঞ্চি মাপের দারচিনি

গ্রেভির জন্য:

২ কাপ দই, ১ চামচ ময়দা, আধ চামচ করে মৌরি, আদা , এলাচ গুঁড়ো, ধনে পাতা ৩ চামচ, নুন, স্বাদ মতো, হলুদ সামান্য

বাকি মশলা:

ঘি, জিরে গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, হিং




কীভাবে বানাবেন

পদ্মের ডাঁটা ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। ২০ মিনিট ঈষদুষ্ণ জলে ভিজিয়ে নোংরা বের করে নিন। এরপর কুকারে দিন, ঘি, পদ্ম ডাঁটা, এলাচ, লবঙ্গ, শা জিরে, মৌরি, দারচিনি। এরপর তাতে আড়াই কাপ জল দিয়ে ৫ থেকে ৬ টা সিটি দিয়ে নিন। একটা পাত্রে দুধ আর ময়দা মিশিয়ে তা কুকারে দিয়ে দিন। এরপর আধকাপ জলে নুন, হলুদ, আদা, এলাচ গুঁড়ো, আধ চামচ মৌরি মিশিয়ে গুলে নিন। এরপর তরকারিতে ওই মিশ্রণ দিয়ে ২০ মিনিট রান্না করুন। অন্য পাত্রে ঘি গরম করে হিং দিন। ফেলুন সামান্য জিরে গুঁড়ো, এরপর কাশ্মীরি লাল লঙ্কার গুঁড়ো দিন। শেষে সতেজ ধনে পাতা দিয়ে দিন। সকলে হাত চেটে খাবে এই পদ।

লাইদুর চমন


কী কী লাগবে

পনির- ৫০০ গ্রাম

হলুদ গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ

মৌরি গুঁড়ো- ২ টেবিল চামচ

আদা গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ

গরম মশলা গুঁড়ো- ১ চা চামচ

বড় এলাচ- ১ (থেঁতো করা)

ছোটো এলাচ- ২-৩টি (থেঁতো করা)

গোটা জিরা- ১ চা চামচ

লবঙ্গ- ২-৩টি

দারচিনি- ১টি ছোটো কাঠি

তেজ পাতা- ২টি

কসৌরি মেথি- সামান্য

তেল- প্রয়োজনমতো

গরম দুধ- ১ কাপ

জল -৩ থেকে ৪ কাপ

ঘি- প্রয়োজনমতো

নুন- স্বাদমতো

চিনি- স্বাদমতো


কীভাবে বানাবেন

পনির একটু বড় বড় টুকরো করে কাটুন।

বড় এবং ছোটো এলাচ থেঁতো করে নিন।

গোটা জিরেও সামান্য থেঁতো করে নিন।

জল উষ্ণ করে গরম করে তাতে সামান্য নুন মিশিয়ে নিন।

কড়াইতে তেল ভালো মতো গরম করে তাতে পনিরগুলি সাবধানে ভালো করে ভেজে নিন। ভাজার সময় গ্যাস মিডিয়াম ফ্লেমে রাখবেন। তাতে পনির ভালো করে ভাজা হয়ে যাবে অথচ পুড়বে না।

পনির ভেজে নিয়ে সেগুলি নুন গোলা গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে পনির রান্নার পরেও তুলতুলে নরম থাকবে এবং পনিরের ভিতরে নুন ঢুকবে।

এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, থেঁতো করা ছোটো এবং বড় এলাচ, থেঁতো করা জিরে, লবঙ্গ এবং দারচিনি ফোঁড়ন দিন।

গোটা গরম মশলার সুগন্ধ উঠলে তাতে এক টেবিল চামচ হলুদ দিয়ে সামান্য জল দিয়ে দিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। না হলে মশলা পুড়ে যাবে।

এবার এতে মৌরি গুঁড়ো এবং আদা গুঁড়ো দিয়ে ফের নাড়তে থাকুন। প্রয়োজনে সামান্য জল দিয়ে নাড়ুন।

মশলার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তাতে পনির এবং তার জল ঢেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন।

বেশ কিছুক্ষণ ধরে ফোটান।

চাইলে এতে কাঁচা লঙ্কা দিতে পারেন।

এবার স্বাদ অনুযায়ী নুন দিন। সাবেকি লাইদুর চমনে চিনি দেওয়া হয় না। তবে বাঙালি জিভে পনির বা ছানার তরকারিতে সামান্য মিষ্টি না হলে ভালো লাগে না। তাই চিনি দিতেই পারেন।

মশলা সহযোগে পনির ভালো মতো ফুটে গেলে তাতে গরম দুধ দিয়ে ফের ফোটান। ক্রমে দেখবেন গ্রেভিটা ঘন হয়ে যাচ্ছে।

এবার একটি পাত্রে ঘি গরম করে তাতে কসৌরি মেথি ফোঁড়ন দিন। সুগন্ধ উঠলেই সেটি পনিরের তরকারিতে ঢেলে দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। গরম গরম কাশ্মীরি লাইদুর চমন নান, পরোটা কিংবা রুটি দিয়েই ভালো লাগে।


রোগান জোশ


কী কী লাগবে

১/২ কেজি মাটন

৫ চামচ সর্ষের তেল

৯টা লবঙ্গ

১ চামচ কাশ্মীরি লাল লঙ্কার গুঁড়ো

১/২ চামচ হলুদ

নুন স্বাদ অনুযায়ী

১ চামচ শুকনো আদা গুঁড়ো

১ চামচ ভাজা মৌরি গুঁড়ো

২ কাটা টমেটো

১ চামচ চিনি

১/২ কাপ দই

১ চামচ কাশ্মীরি গরম মশলা

কাশ্মীরি গরম মশলা তৈরি করার জন্য প্রয়োজন ২টো দারুচিনি, ২টো এলাচ, ১ চামচ ধনে, ১/২ চামচ গোল মরিচ, ১ জিরে, ১ চামচ শাহ জিরে, ১টা ছোট শুকনো আদা। এই সব উপাদানকে শুকনো কড়ায় ভেজে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন।


কীভাবে বানাবেন

একটি কড়ায় তেল গরম করে নিন। তাতে লবঙ্গ, এক চামচ কাশ্মীরি লাল লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মিক্স করে নিন।

এরপর তাতে ১/২ চামচ হলুদ দিন এবং মিশিয়ে নিন। এরপর এতে মাটনের পিস গুলো দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন।

এরপর এতে স্বাদ মত নিন, শুকনো আদা গুঁড়ো, মৌরি গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। সংমিশ্রণটি ভাল করে নেড়ে নিন।

এবার এতে কাটা টমেটোগুলি যোগ করুন। তাতে সঙ্গে দিন স্বাদ মত নুন আর চিনি। এরপর গাঢ় বাদামী রঙ না হওয়া অবধি ভাল করে নেড়ে নিন। এরপর যোগ করুন দই। দই দিয়ে মিশ্রণটি ভাল করে কষে নিন, তারপর পরিমাণ মত জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন ৩০ মিনিটের জন্য।

মাটন সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে আগে থেকে তৈরি করা গরম মশলা দিয়ে দিন এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট নেড়ে নিন। কড়ায় তেল ছাড়তে শুরু করলেই তৈরি আপনার রোগান জোশ।

গোলাপী নুন চা


কী কী লাগবে

২ চা চামচ/চার প্যাকেট গ্রিন টি

১/২ চা চামচ খাবার সোডা

১ কাপ দুধ

১/২ চা চামচ বেকিং সোডা

১/২ চা চামচ লবণ (নুন)

২ কাপ পানি

১ টি দারচিনি

১ টি স্টার অ্যানিস

১ টি এলাচ


কীভাবে বানাবেন

আভেনে প্রথম জল ফোটাতে দিন। এবার তাতে দারচিনি, এলাচ, স্টার অ্যানিস দিতে হবে। জল ফুটে উঠলে তাতে কাশ্মীরি গ্রিন টি দিন। তারপর বেকিং সোডা ও নুন যোগ করে নেড়ে দিন। ৩০ মিনিট ফোটাতে দিন। জলের রঙ আস্তে আস্তে বদলে যেতে শুরু করবে। জল কমে গেলে আবার জল দিন। ফের ৩০ মিনিট ফুটিয়ে দুধ দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। যত বেশি পরিমাণ জল দেবেন, যতবেশি বেকিং সোডা দেবেন, তত বেশি গোলাপী রঙ ধারণ করবে। চা ফুটে গেলে ছেঁকে পরিবেশন করুন কাশ্মীরির নুন চা।

 

Kommentare


ssss.jpg
sssss.png

QUICK LINKS

ABOUT US

WHY US

INSIGHTS

OUR TEAM

ARCHIVES

BRANDS

CONTACT

© Copyright 2025 to Debi Pranam. All Rights Reserved. Developed by SIMPACT Digital

Follow us on

Rojkar Ananya New Logo.png
fb png.png

 Key stats for the last 30 days

bottom of page