এশিয়ান কুইজিন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়, এবং এর মধ্যে কোরিয়ান খাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। কোরিয়ান খাবার তাদের অনন্য স্বাদ, ফারমেন্টেড উপাদান, মশলাদার স্বাদ ও স্বাস্থ্যকর উপকরণের জন্য পরিচিত। এই ধরনের রান্নাগুলি সাধারণত চাল, শাকসবজি, মাংস, সামুদ্রিক খাবার এবং বিভিন্ন ধরনের ফারমেন্টেড (Fermented) খাবারের সমন্বয়ে তৈরি হয়। বিভিন্ন রকম ফার্মেন্টেড খাবার যেমন, কিমচি (Kimchi), দুয়েনজাং (Doenjang - সয়া পেস্ট), এবং গোচুজাং (Gochujang - মরিচ পেস্ট) কোরিয়ান খাবারের অন্যতম প্রধান উপকরণ। অধিকাংশ কোরিয়ান খাবার অত্যন্ত ঝাল হয়, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে লঙ্কা বাটা ও রসুন ব্যবহার করা হয়। একসাথে চাল, সবজি, প্রোটিন এবং ফারমেন্টেড খাবার খাওয়া কোরিয়ান সংস্কৃতির অংশ। প্রতিটি খাবারের সাথে বিভিন্ন ধরনের ছোট সাইড ডিশ পরিবেশন করা হয়, যেমন কিমচি, স্পাইসি শাকসবজি, বা ছোট মাছ।

বর্তমানে এদেশেও কোরিয়ান ফুড অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কোরিয়ান সংগীত, নাচ, সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, টিভি সিরিয়াল, সাজগোজ, রূপচর্চা সবই এখন এদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। পছন্দের তালিকায় রয়েছে কোরিয়ার খাবারও। আর যারা বিভিন্ন ধরনের রান্না ট্রাই করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য তো এটা ভীষণ ভালো একটা অপশন। ছুটির দিনে অথবা অতিথি আপ্যায়নে বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে পারবেন, এমন কিছু রেসিপি রইলো আজ। আর কি কোরিয়ান ফুড ঝড় তুলুক আপনার বাড়ির টেবিলেও!

কিমচি (Kimchi)
কোরিয়ান খাবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এটি মূলত ফারমেন্টেড বাঁধাকপি ও মশলা দিয়ে তৈরি হয়। এতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে।
কিমচি সালাদ
কী কী লাগবে
১ কাপ কিমচি (মাঝারি টুকরো করা)
১/২ কাপ শসা (পাতলা করে কাটা)
১/৪ কাপ গাজর (পাতলা কাটা বা গ্রেট করা)
১/৪ কাপ পেঁয়াজ (পাতলা স্লাইস)
১ টেবিলচামচ কিমচি সস
১ টেবিলচামচ সয়া সস
১ চা চামচ তিলের তেল /Shalimar's সানফ্লাওয়ার তেল
১ চা চামচ চিনি (ঐচ্ছিক)
১/২ চা চামচ Shalimar's Chef Spices লাল লঙ্কার গুঁড়ো
১ টেবিলচামচ টোস্ট করা তিল
১ টেবিলচামচ কাটা পেঁয়াজ পাতা (গার্নিশের জন্য)

কীভাবে বানাবেন
একটি বড় পাত্রে কিমচি, শসা, গাজর ও পেঁয়াজ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর কিমচি সস, সয়া সস, তিলের তেল/ সাদা তেল, চিনি ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। সব উপকরণ ভালোভাবে মিশে গেলে উপরে টোস্ট করা তিল ও পেঁয়াজ পাতা ছড়িয়ে দিন। ১০-১৫ মিনিট ফ্রিজে রেখে পরিবেশন করুন! আপনি চাইলে এতে অ্যাভোকাডো, টোফু বা সিদ্ধ চিকেনও যোগ করতে পারেন। এটি রাইস বা নুডলসের সঙ্গে দারুণ লাগে!

বুলগোগি (Bulgogi)
এটি মিষ্টি ও মশলাদার গ্রিলড মাংস, যা সয়া সস, রসুন ও চিনি দিয়ে মেরিনেট করা হয়। চাল বা লেটুস র্যাপে খাওয়া হয়।
কী কী লাগবে
মেরিনেডের জন্য:
৫০০ গ্রাম মাংস
১/৪ কাপ সয়াসস
২ টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার (বা মধু)
১ টেবিল চামচ তিলের তেল
২ টেবিল চামচ কাটা নাশপাতি (বা আপেল)
১ টেবিল চামচ কুচি করা রসুন
১ টেবিল চামচ কুচি করা আদা
১ টেবিল চামচ রাইস ভিনেগার (ঐচ্ছিক)
১ টেবিল চামচ গোচুজাং/Shalimar's Chef Spices লাল লঙ্কার গুঁড়ো
১/২ চা চামচ Shalimar's Chef Spices গোলমরিচ গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ তিল
২ টেবিল চামচ কুচানো পেঁয়াজ পাতা

রান্নার জন্য এবং পরিবেশন করার জন্য:
১ টেবিল চামচ Shalimar's সানফ্লাওয়ার তেল
১/২ পেঁয়াজ, পাতলা কাটা
১/২ গাজর, লম্বা করে কাটা
১/২ বেল পিপার, কাটা
১ চা চামচ তিল (সাজানোর জন্য)
রান্না করা ভাত, লেটুস, কিমচি বা সামজাং (কোরিয়ান ডিপিং সস)
কীভাবে বানাবেন
মাংস পাতলা করে কেটে নিন। সহজে কাটতে চাইলে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। একটি পাত্রে সয়া সস, ব্রাউন সুগার, তিলের তেল, কাটা নাশপাতি, রসুন, আদা, রাইস ভিনেগার, গোচুজাং, গোলমরিচ, তিল এবং কুচানো পেঁয়াজ পাতা মিশিয়ে নিন। মেরিনেডের সাথে মাংস ভালোভাবে মিশিয়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট রেখে দিন (আরও ভালো স্বাদের জন্য সারা রাত ফ্রিজে রাখুন)। মাঝারি-উচ্চ আঁচে একটি প্যানে বা গ্রিলে তেল গরম করুন। মেরিনেট করা মাংস যোগ করে প্রতি পাশে ২-৩ মিনিট রান্না করুন যতক্ষণ না এটি ক্যারামেলাইজ হয়। পেঁয়াজ, গাজর ও বেল পিপার দিয়ে আরও ২ মিনিট ভাজুন। উপর থেকে তিল ছিটিয়ে দিন। গরম ভাত, লেটুস, কিমচি ও সামজাং-এর সাথে পরিবেশন করুন।

বিবিমবাপ (Bibimbap)
এটি একধরনের মিশ্রিত চালের খাবার, যেখানে ভাত, শাকসবজি, মাংস, ডিম ও গোচুজাং (কোরিয়ান চিলি পেস্ট) থাকে। স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার হিসেবে জনপ্রিয়।
কী কী লাগবে
২ কাপ রান্না করা ছোট দানার ভাত (গরম)
২টি ডিম (ভাজা)
১/২ কাপ কিমচি (ঐচ্ছিক)
১/২ কাপ পালং শাক
১/২ কাপ গাজর (লম্বা কাটা)
১/২ কাপ জুকিনি (লম্বা কাটা)
১/২ কাপ মুগ ডাল স্প্রাউট (সিদ্ধ করা)
১/২ কাপ মাশরুম (শিটাকে বা সাধারণ, কাটা)
প্রতিটি সবজির জন্য ১/২ চা চামচ তিলের তেল
প্রতিটি সবজির জন্য ১/২ চা চামচ সয়াসস
১/৪ চা চামচ লবণ
১০০ গ্রাম মুরগির মাংস (পাতলা কাটা)
১ টেবিল চামচ সয়াসস
১ চা চামচ তিলের তেল/ Shalimar's সানফ্লাওয়ার তেল
১ চা চামচ কুচানো রসুন
১/২ চা চামচ চিনি
বিবিম্বাপ সসের জন্য:
২ টেবিল চামচ গোচুজাং
১ টেবিল চামচ তিলের তেল/ Shalimar's সানফ্লাওয়ার তেল
১ চা চামচ চিনি
১ চা চামচ রাইস ভিনেগার
১ চা চামচ কুচানো রসুন
১ চা চামচ তিল

কীভাবে বানাবেন
পালং শাক ও স্প্রাউট ৩০ সেকেন্ড সিদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিন। প্রতিটির সাথে তিলের তেল ও সয়াসস মিশিয়ে নিন। গাজর, জুকিনি ও মাশরুম আলাদাভাবে তিলের তেল ও সয়াসস দিয়ে ১-২ মিনিট ভেজে নিন। একটি প্যানে তিলের তেল দিন, এরপর মাংস, সয়াসস, রসুন ও চিনি দিয়ে রান্না করুন যতক্ষণ না এটি ভালোভাবে রান্না হয়। একটি ছোট বাটিতে সব সসের উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন। ঝাল কমাতে চাইলে গোচুজাং কম দিন। একটি বড় বাটিতে গরম ভাত রাখুন। উপরে সবজি ও প্রোটিন আলাদা আলাদা সেকশনে সাজিয়ে দিন। মাঝখানে একটি ভাজা ডিম দিন। উপর থেকে বিবিম্বাপ সস ঢেলে দিন এবং তিল ছিটিয়ে দিন। খাওয়ার আগে সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যেন স্বাদ আরও ভালো লাগে!

তোকবোক্কি (কোরিয়ান স্পাইসি রাইস কেক)
মশলাদার চালের কেক, যা সস ও সীফুড বা মাছের কেকের সাথে পরিবেশন করা হয়। স্ট্রিট ফুড হিসেবে কোরিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়।
কী কী লাগবে
২ কাপ কোরিয়ান রাইস কেক
৪টি শুকনো অ্যাঙ্কোভি (অথবা ১ চা চামচ অ্যাঙ্কোভি গুঁড়ো)
১ টুকরো কোম্বু (শুকনো সামুদ্রিক শৈবাল) (ঐচ্ছিক)
২ টেবিল চামচ গোচুজাং (কোরিয়ান লাল মরিচ পেস্ট)
১ টেবিল চামচ গোচুগারু/ Shalimar's Chef Spices লাল লঙ্কার গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ সয়া সস
১ টেবিল চামচ চিনি
২ কোয়া রসুন (কুচি করা)
১/২ চা চামচ লবণ
১/২ চা চামচ Shalimar's Chef Spices গোলমরিচ গুঁড়ো
১/২ চা চামচ তিলের তেল (ঐচ্ছিক)
২টি সিদ্ধ ডিম (ঐচ্ছিক)
১/২ কাপ মাছের কেক, টুকরো করে কাটা (ঐচ্ছিক)
১ ডাঁটা পেঁয়াজ পাতা, কুচানো
১ চা চামচ তিল (সাজানোর জন্য)

কীভাবে বানাবেন
যদি রাইস কেক শক্ত হয়, তাহলে ১৫-২০ মিনিট গরম জল এ ভিজিয়ে রাখুন। যদি এটি নরম হয়, তাহলে সরাসরি রান্না করতে পারেন। একটি পাত্রে ৪ কাপ জল শুকনো অ্যাঙ্কোভি এবং কোম্বু দিন। ফুটতে দিন এবং তারপর ১০ মিনিট কম আঁচে সিদ্ধ করুন। এরপর অ্যাঙ্কোভি ও কোম্বু ফেলে দিন, শুধু ব্রথ রেখে দিন। ব্রথের মধ্যে গোচুজাং, গোচুগারু, সয়া সস, চিনি, কুচানো রসুন, লবণ এবং গোলমরিচ দিন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর রাইস কেক ও মাছের কেক দিন। মাঝারি আঁচে ৮-১০ মিনিট রান্না করুন, যতক্ষণ না সস ঘন হয়ে আসে এবং রাইস কেক নরম ও চিবোনো যায়। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। সিদ্ধ ডিম যোগ করুন এবং আলতো করে মিশিয়ে নিন। তিলের তেল ছিটিয়ে দিন। কুচানো পেঁয়াজ পাতা ও তিল দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন!

জানজাংমিয়ন (Jajangmyeon)
কালো বিন সসের সাথে নুডলস, যা চীনা-কোরিয়ান ফিউশন খাবার হিসেবে পরিচিত। এটি কোরিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ফাস্ট ফুড। জাজাংমিয়ন হলো একটি জনপ্রিয় কোরিয়ান-চাইনিজ নুডলস খাবার, যা ঝলসানো ব্ল্যাক বীন সস, মাংস ও সবজি দিয়ে তৈরি করা হয় এবং মোটা নুডলসের উপরে পরিবেশন করা হয়।
কী কী লাগবে
জাজাংমিয়ন নুডলস
১ চা চামচ তিলের তেল/Shalimar's সানফ্লাওয়ার তেল
ব্ল্যাক বীন সসের জন্য:
৩ টেবিল চামচ চুনজাং (কোরিয়ান ব্ল্যাক বীন পেস্ট)
১ টেবিল চামচ চিনি
২ টেবিল চামচ তেল/Shalimar's সানফ্লাওয়ার তেল
১ টেবিল চামচ অয়েস্টার সস (ঐচ্ছিক, অতিরিক্ত স্বাদের জন্য)
মাংস ও সবজি ভাজার জন্য:
২০০ গ্রাম মাংস ছোট করে কাটা
১/২ পেঁয়াজ, কুচানো
১/২ জুকিনি, ছোট করে কাটা
১/২ আলু, ছোট কিউব করে কাটা
১/৪ কাপ বাঁধাকপি, কুচানো
১ টেবিল চামচ রসুন, কুচানো
১ কাপ চিকেন ব্রথ
১ চা চামচ সয়া সস
১ টেবিল চামচ কর্নস্টার্চ + ২ টেবিল চামচ জল
১ শসা, লম্বা করে কাটা
১ সিদ্ধ ডিম, অর্ধেক কাটা (ঐচ্ছিক)

কীভাবে বানাবেন
প্যাকেটের নির্দেশিকা অনুযায়ী জাজাংমিয়ন নুডলস সেদ্ধ করুন। জল ঝরিয়ে ধুয়ে নিন এবং ১ চা চামচ তিলের তেল দিয়ে মিশিয়ে রাখুন যেন আটকে না যায়। মাঝারি আঁচে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করুন। চুনজাং (ব্ল্যাক বীন পেস্ট) দিন এবং ২-৩ মিনিট ভাজুন যতক্ষণ না সুগন্ধ বের হয়। ১ টেবিল চামচ চিনি ও অয়েস্টার সস (যদি ব্যবহার করেন) দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন, তারপর সেটি আলাদা করে রাখুন। একই প্যানে মাংস মাঝারি-উচ্চ আঁচে সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। রসুন, পেঁয়াজ, জুকিনি, আলু ও বাঁধাকপি দিন, তারপর ৩-৪ মিনিট ভাজুন। ১ কাপ ব্রথ দিন এবং ফুটতে দিন। রান্না করা ব্ল্যাক বীন পেস্ট দিন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। অতিরিক্ত স্বাদের জন্য ১ চা চামচ সয়া সস দিন। ১ টেবিল চামচ কর্নস্টার্চ + ২ টেবিল চামচ জল মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। ধীরে ধীরে সসের মধ্যে ঢালুন এবং নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না সস ঘন হয়ে যায়।একটি বাটিতে নুডলস রাখুন, উপর থেকে ব্ল্যাক বীন সস ঢেলে দিন। শসা ও সিদ্ধ ডিম দিয়ে গার্নিশ করুন। খাওয়ার আগে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং উপভোগ করুন!

সুন্দুবু জিগে (Sundubu Jjigae)
এটি একটি মশলাদার টফু স্যুপ, যেখানে মাংস, সীফুড এবং সবজি থাকে। এটি শরীর উষ্ণ রাখার জন্য শীতকালে বেশি জনপ্রিয়।
কী কী লাগবে
২ কাপ অ্যাঙ্কোভি বা মাংসের ব্রথ
১ টেবিল চামচ সয়া সস (সুপের জন্য)
১ চা চামচ লবণ (স্বাদ অনুযায়ী)
১ প্যাক (৩০০ গ্রাম) সুন্দুবু (সফট টোফু)
১০০ গ্রাম মাংস, পাতলা কাটা
১/৪ পেঁয়াজ, কুচানো
১/২ জুকিনি, ছোট করে কাটা
৩ কোয়া রসুন, কুচানো
১ টি সবুজ লঙ্কা, কাটা
১/২ কাপ কিমচি, কাটা (ঐচ্ছিক, অতিরিক্ত স্বাদের জন্য)
১টি ডিম (ঐচ্ছিক, টপিং হিসেবে)
১ টেবিল চামচ গোচুগারু/Shalimar's Chef Spices লাল লঙ্কার গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ গোচুজাং (কোরিয়ান লাল মরিচ পেস্ট)
১ টেবিল চামচ তিলের তেল/Shalimar's সানফ্লাওয়ার তেল
১ চা চামচ চিনি
১/২ চা চামচ Shalimar's Chef Spices গোলমরিচ গুঁড়ো
১ টি সবুজ পেঁয়াজ, কুচানো
১/২ চা চামচ টোস্ট করা তিল
কীভাবে বানাবেন

একটি পাত্রে ২ কাপ ব্রথ ফুটতে দিন। সয়া সস ও লবণ দিন স্বাদ বাড়ানোর জন্য। একটি প্যানে ১ টেবিল চামচ তিলের তেল মাঝারি আঁচে গরম করুন। গোচুগারু, গোচুজাং, রসুন ও চিনি দিন এবং ৩০ সেকেন্ড ভাজুন যতক্ষণ না সুগন্ধ বের হয়। মাংস দিন এবং হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। পেঁয়াজ, জুকিনি, কিমচি (যদি ব্যবহার করেন) এবং সবুজ লঙ্কা দিন, তারপর ২ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। রান্না করা মিশ্রণটি সিদ্ধ ব্রথে ঢেলে দিন। সুন্দুবু (সফট টোফু) আস্তে আস্তে চামচ দিয়ে দিন (খুব ছোট করে কাটবেন না)। এটি ৫-৭ মিনিট ফুটতে দিন, যাতে সব স্বাদ একসাথে মিশে যায়। স্টুর উপরে একটি ডিম ভেঙে দিন এবং ১-২ মিনিট রান্না হতে দিন। কুচানো সবুজ পেঁয়াজ ও টোস্ট করা তিল দিয়ে গার্নিশ করুন। গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন ও উপভোগ করুন! অতিরিক্ত স্বাদের জন্য চিংড়ি বা ঝিনুক যোগ করুন। যদি আরও ঝাল চান, অতিরিক্ত গোচুগারু ব্যবহার করুন। আসল কোরিয়ান স্বাদ পেতে মাটির পাত্র (ttukbaegi) ব্যবহার করুন, যা খাবারকে দীর্ঘক্ষণ গরম রাখে!

বর্ধমান রাজবাড়ী ভ্রমণ..
সুদেষ্ণা ঘোষ

বর্ধমানের রাজার প্রাসাদ, বর্ধমান রাজবাড়ি নামেও পরিচিত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ। পূর্বে বর্ধমান রাজ পরিবারের বাসভবন ছিল। এটি কাঞ্চননগরে অবস্থিত ছিল, তবে দামোদর নদীর বন্যার কারণে রাজবাড়ীটি শহরের অন্য একটি উচু স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়।
ইতিহাস:
প্রাসাদটি ১৯ শতকে বর্ধমানের মহারাজাদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, যারা মুঘল সাম্রাজ্যের বংশধর ছিলেন। প্রাসাদটি মহারাজাদের ক্ষমতার আসন হিসাবে কাজ করেছিল, যারা বাংলার বৃহত্তম জমিদারি এস্টেট বর্ধমান এস্টেটের উপর শাসন করতেন।

প্রাথমিক ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠা:
বর্ধমান রাজ পরিবারের উৎপত্তি পাঞ্জাবি ক্ষত্রিয় দুই ভাই, সঙ্গম রায় ও কাশী রায়ের মাধ্যমে, যারা ১৭শ শতকের গোড়ার দিকে বাংলায় বসতি স্থাপন করেন। মুগল সাম্রাজ্যের অধীনে তারা জমিদারি লাভ করেন এবং বর্ধমান রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন। মহারাজা কীর্তিচাঁদ (১৭০২-১৭৪০) তার শাসনামলে রাজবংশের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলেন।
ব্রিটিশ শাসনের সময় উত্থান:
মহারাজা তেজচাঁদ (১৭৭০-১৭৮৬) এবং তার উত্তরসূরি মহারাজা মাহতাবচাঁদ (১৮৩২-১৮৭৯) ব্রিটিশ প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে ওঠেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বর্ধমানের মহারাজাদের বাংলার অন্যতম প্রভাবশালী জমিদার হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং বিশাল জমিদারি প্রদান করে। এই সময়ে রাজবাড়ি (প্রাসাদ কমপ্লেক্স) নির্মাণ করা হয়, যেখানে ঐতিহ্যবাহী বাংলা স্থাপত্য ও ঔপনিবেশিক শৈলীর সংমিশ্রণ দেখা যায়।

স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব:
বর্ধমান রাজবাড়ি কমপ্লেক্স-এ রয়েছে মহারাজার প্রাসাদ, সর্বমঙ্গলা মন্দির, এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবন। কার্জন গেট, ১৯০৩ সালে নির্মিত হয়েছিল, যা ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সম্মানে তৈরি করা হয়। রাজবাড়িতে একটি বৃহৎ গ্রন্থাগার, দরবার হল, এবং রাজ আমলের বিভিন্ন শিল্পকর্মের সংগ্রহ ছিল।
অবনতি ও আধুনিক যুগ:
১৯৫১ সালে জমিদারি প্রথার অবলুপ্তির পর রাজ পরিবার তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা হারায়।
সরকারের অধীনে রাজবাড়ির অনেক অংশ চলে যায়, তবে কিছু অংশ এখনো রাজ পরিবারের উত্তরাধিকারীদের অধীনে রয়েছে। বর্তমানে, বর্ধমান রাজবাড়ি বাংলার জমিদারি ও ঔপনিবেশিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে পর্যটক ও গবেষকদের আকর্ষণ করে।

বর্ধমান রাজবাড়ির প্রধান আকর্ষণসমূহ:
মহারাজার প্রাসাদ – বর্ধমানের রাজ পরিবারের জাঁকজমকপূর্ণ বাসভবন।
সর্বমঙ্গলা মন্দির – দেবী দুর্গাকে উৎসর্গীকৃত বিখ্যাত মন্দির, যা বর্ধমানের মহারাজারা নির্মাণ করেছিলেন।
গোলাপবাগ – বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদে ভরপুর একটি সুন্দর উদ্যান, যা রাজপরিবারের তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠে।
কার্জন গেট – ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সম্মানে নির্মিত এক রাজকীয় প্রবেশদ্বার।
রাজবাড়ি কমপ্লেক্স – প্রাসাদ, মন্দির এবং প্রশাসনিক ভবনসমূহের সমন্বয়ে গঠিত।

লং টার্মে SIP (Systematic Investment Plan)
SIP হল মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি, যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নিয়মিত (মাসিক/ত্রৈমাসিক) বিনিয়োগ করা হয়। লং টার্মে SIP করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে দেওয়া হলো:

চক্রবৃদ্ধি সুদের শক্তি (Power of Compounding):
দীর্ঘ সময় ধরে SIP চালিয়ে গেলে সুদের ওপর সুদ যোগ হয়, যা বিনিয়োগের পরিমাণকে অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা করে ২০ বছর বিনিয়োগ করে এবং গড় বার্ষিক রিটার্ন ১২% হয়, তাহলে তার মোট বিনিয়োগ হবে ১২ লাখ টাকা, কিন্তু পরিশেষে পাওয়া যাবে প্রায় ৫০+ লাখ টাকা।

মার্কেট ভোলাটিলিটি এবং রুপি কস্ট অ্যাভারেজিং:
লং টার্মে SIP করলে শেয়ার বাজারের ওঠানামার প্রভাব কমে যায়, কারণ নিয়মিত বিনিয়োগের ফলে কখনও বেশি দামে, কখনও কম দামে ইউনিট কেনা হয়। এতে গড় ক্রয়মূল্য কমে আসে এবং দীর্ঘমেয়াদে ভালো রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
ট্যাক্স বেনিফিট (Tax Benefits):
যদি ELSS (Equity Linked Savings Scheme) SIP করা হয়, তাহলে এটি ৮০C ধারা অনুযায়ী বছরে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স ছাড় দেয়। ১ বছর পর লং-টার্ম ক্যাপিটাল গেইন (LTCG) ট্যাক্স ১ লাখ টাকার বেশি হলে ১০% দিতে হয়।

ফিনান্সিয়াল গোল অর্জন:
রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং: দীর্ঘমেয়াদি SIP করলে ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
শিশুর শিক্ষা ও বিবাহ: ১৫-২০ বছরের SIP পরিকল্পনা শিক্ষার ব্যয় ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হতে পারে।
বাড়ি বা গাড়ির জন্য ফান্ড: নির্দিষ্ট লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি SIP করলে লোনের ওপর নির্ভরশীলতা কমে।

কোন SIP বেছে নেবেন?
Equity SIP: ১০+ বছরের জন্য ভালো, উচ্চ রিটার্ন সম্ভাবনা।
Debt SIP: কম ঝুঁকি, স্ট্যাবল রিটার্নের জন্য।
Hybrid SIP: ঝুঁকি ও রিটার্নের ভারসাম্য রাখতে চাইলেই সেরা।
লং টার্মে SIP বিনিয়োগ করলে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ, মার্কেট ভোলাটিলিটিতে সুবিধা এবং ফিনান্সিয়াল গোল অর্জনের সুযোগ পাওয়া যায়। তবে বিনিয়োগের আগে নিজের ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা এবং লক্ষ্যের কথা বিবেচনা করা জরুরি।

ফ্রিল্যান্সিং: ভালো-মন্দ
ফ্রিল্যান্সিং হল স্বাধীনভাবে কাজ করার একটি উপায়, যেখানে আপনি কোনো নির্দিষ্ট অফিস বা বসের অধীনে না থেকে নিজের ইচ্ছামতো কাজ করতে পারেন। তবে এর কিছু ভালো এবং কিছু চ্যালেঞ্জিং দিক রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভালো দিক:
1. স্বাধীনতা ও ফ্লেক্সিবিলিটি
নিজের সময়মতো কাজ করতে পারেন, নির্দিষ্ট অফিস টাইমের বাধ্যবাধকতা নেই। কোথা থেকে কাজ করবেন সেটাও আপনি নির্ধারণ করতে পারেন (ক্যাফে, ট্রাভেল করার সময়)।
2. উপার্জনের সীমাবদ্ধতা নেই
নির্দিষ্ট বেতনের চাকরির তুলনায় ফ্রিল্যান্সিংয়ে উপার্জনের সুযোগ বেশি। ভালো দক্ষতা থাকলে মাসে হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
3. নিজের পছন্দের কাজ করা যায়
আপনি যেই বিষয়ে দক্ষ, সেটাতেই কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন প্রজেক্টের মধ্যে নিজের ইচ্ছেমতো বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে।
4. ক্লায়েন্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়
ভালো পারফর্ম করলে দীর্ঘমেয়াদে স্টেবল ক্লায়েন্ট তৈরি হয়, যা নিশ্চিত আয় আনে। গ্লোবাল মার্কেটে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।
5. স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও ক্যারিয়ার গ্রোথ
নতুন নতুন স্কিল শেখার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার উন্নত করা যায়। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার পরবর্তীতে এজেন্সি খুলে অন্যদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের খারাপ দিক:
1. ইনকাম অনিশ্চিত
নতুনদের জন্য নিয়মিত কাজ পাওয়া কঠিন হতে পারে। মাস অনুযায়ী ইনকামের পার্থক্য থাকতে পারে, যা ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যানিং কঠিন করে।
2. কঠিন প্রতিযোগিতা
গ্লোবাল মার্কেটে প্রচুর ফ্রিল্যান্সার থাকায় নতুনদের জন্য ভালো ক্লায়েন্ট পাওয়া কঠিন হতে পারে। শুরুতে কম রেটে কাজ করতে হতে পারে, যা অনেকের জন্য হতাশাজনক।

3. কোন নির্দিষ্ট বেনিফিট নেই
চাকরির মতো মেডিকেল, পেনশন বা অন্যান্য সুবিধা নেই। সব খরচ (ইন্টারনেট, সফটওয়্যার, কোর্স ইত্যাদি) নিজেকেই বহন করতে হয়।
4. নির্দিষ্ট সময়ের কাজের চাপ
কখনো কখনো কাজের লোড বেশি হয়ে যায়, ফলে স্ট্রেস বাড়তে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডেলিভারি দিতে হয়, না পারলে রেটিং কমে যেতে পারে।
5. স্ক্যাম ও পেমেন্ট সমস্যা
কিছু ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম বা ক্লায়েন্ট পেমেন্ট দিতে দেরি করতে পারে বা একদমই না-ও দিতে পারে।
নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার না করলে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং তাদের জন্য ভালো, যারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান এবং নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করতে চান না। তবে, এর জন্য ধৈর্য, দক্ষতা এবং নিয়মিত পরিশ্রম করা প্রয়োজন। নতুনদের জন্য শুরুতে একটু কষ্ট হলেও, দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে ভালো ইনকাম করা সম্ভব।
"দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম দিন" এই প্রবাদটি আদি অনন্ত প্রচলিত, নিজের মুখের সুন্দর হাসিটি কিভাবে ধরে রাখবেন?
সুদেষ্ণা ঘোষ

দাঁত পরিষ্কার ও সাদা রাখার জন্য ভালো মুখের স্বাস্থ্যবিধি, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত দাঁতের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সমন্বয় প্রয়োজন। ঝলমলে হাসি অর্জনে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:
স্বাস্থ্যবিধি অভ্যাস
১. দাঁত ব্রাশ করুন:
দিনে অন্তত দুবার ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন, বিশেষ করে দাঁত এবং মাড়ির মিলনের জায়গায়।
২. প্রতিদিন ফ্লস:
ফ্লসিং আপনার দাঁতের মাঝখান থেকে এবং মাড়ির নীচে থেকে খাদ্য কণা এবং প্লাক অপসারণ করতে সাহায্য করে।
৩. জিহ্বা স্ক্র্যাপার ব্যবহার করুন:
জিহ্বার পৃষ্ঠ থেকে ব্যাকটেরিয়া এবং ধ্বংসাবশেষ দূর করুন, জিহ্বা স্ক্র্যাপার দিয়ে।

৪. মাউথওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন:
ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে এবং আপনার নিঃশ্বাস সতেজ করতে মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
খাদ্য এবং পুষ্টি:
১. ফল এবং শাকসবজি খান:
আপেল, গাজর এবং ব্রোকলির মতো ক্রাঞ্চি ফল এবং শাকসবজি প্রাকৃতিকভাবে দাঁত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
২. চিনিযুক্ত এবং অ্যাসিডিক খাবার এড়িয়ে চলুন:
মিষ্টি, সোডা এবং স্পোর্টস ড্রিংকের মতো চিনিযুক্ত এবং অ্যাসিডিক খাবারের ব্যবহার সীমিত করুন, যা দাঁতের ক্ষয় এবং ক্ষয়ের কারণ হতে পারে।
৩. প্রচুর জল পান করুন: প্রচুর জল পান করে হাইড্রেটেড থাকুন, যা ব্যাকটেরিয়া এবং খাদ্য কণা দূর করতে সাহায্য করে।
ঝকঝকে এবং দাগ প্রতিরোধ
১. একটি ঝকঝকে টুথপেস্ট ব্যবহার করুন: পৃষ্ঠের দাগ দূর করতে হালকা ঘোষে তুলে ফেলতে সক্ষম এবং হাইড্রোজেন পারক্সাইডযুক্ত একটি ঝকঝকে টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
২. দাগ সৃষ্টিকারী খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলুন: কফি, চা এবং রেড ওয়াইনের মতো দাগ সৃষ্টিকারী খাবার এবং পানীয়ের ব্যবহার সীমিত করুন।
অতিরিক্ত টিপস
১. ধূমপান এবং তামাক এড়িয়ে চলুন: ধূমপান এবং তামাক সেবন দাঁতের বিবর্ণতা এবং দাগের কারণ হতে পারে।
২. আপনার জিহ্বা এবং মুখের তালু পরিষ্কার করুন: ব্যাকটেরিয়া জমা হওয়া রোধ করতে নিয়মিত আপনার জিহ্বা এবং মুখের তালু পরিষ্কার করুন।
এই টিপসগুলি অনুসরণ করে, আপনি পরিষ্কার, সাদা দাঁত এবং একটি স্বাস্থ্যকর, সুন্দর হাসি বজায় রাখার পথে এগিয়ে যাবেন!

Comments