top of page

স্বাধীনতার ইতিহাসে ভারতীয় নারী এবং রাজ ঘরানা, বন্ধ্যাত্ব এবং আইভিএফ, সান্ধ্য আড্ডায় পনিরের সেরা ১০ রেসিপি..

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম কেবল পুরুষদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়নি, বরং নারীরাও সমানভাবে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য তাঁরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন, অসহযোগ ও সত্যাগ্রহ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বিপ্লবী কর্মকাণ্ডেও অংশ নিয়েছেন। সমাজের নানা বাধা অতিক্রম করে তাঁরা প্রমাণ করেছেন যে, সংগ্রামে নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ নেই। তাঁদের সাহস, আত্মত্যাগ ও নেতৃত্ব ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতীয় নারীর ভূমিকা

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নারী সমাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা শুধু অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব হিসেবেই নয়, বরং সরাসরি আন্দোলন, যুদ্ধ, বিপ্লব এবং সমাজসংস্কারে অংশগ্রহণ করে নিজেদের অসামান্য সাহস ও ত্যাগের পরিচয় দিয়েছেন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নারীরা রাজনৈতিক, সামরিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

নেতৃত্ব ও লড়াইয়ের প্রতীক নারীরা:


রানি লক্ষ্মীবাই (১৮২৮-১৮৫৮): ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের অন্যতম প্রধান নারী নেত্রী, যিনি ঝাঁসির ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিলেন।


বেগম হজরত মহল: ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে লখনউতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।


ভিকাজি কামা: প্রথম ভারতীয় ত্রিবর্ণ পতাকা (স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক) বিদেশের মাটিতে উড়িয়েছিলেন।

অহিংস আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা:


সারোজিনী নাইডু: গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন, সিভিল ডিসঅবিডিয়েন্স ও ভারত ছাড়ো আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ‘নাইটিঙ্গেল অব ইন্ডিয়া’ নামে পরিচিত।


কাস্তুরবা গান্ধী: মহাত্মা গান্ধীর সহধর্মিণী কাস্তুরবা, যিনি অসহযোগ আন্দোলন এবং সত্যাগ্রহে অংশ নিয়েছিলেন।


অরুণা আসফ আলি: ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং তিরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেন।

বিপ্লবী নারীদের ভূমিকা:


কালপানা দত্ত ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার: চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিপ্লবী কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।


দুর্গাবতী দেশমুখ: স্বাধীনতা সংগ্রামের পাশাপাশি সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রাখেন।


উষা মেহতা: গোপন কংগ্রেস রেডিও চালিয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করেন।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীরা কেবল অনুপ্রেরণাদায়ী ভূমিকায় ছিলেন না, তারা সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে, আন্দোলনে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বে ছিলেন। তাদের সাহস, ত্যাগ ও অবদানের কারণেই ভারত স্বাধীনতার পথে অগ্রসর হয়েছে। এই সংগ্রামী নারীরা আজও দেশের প্রতিটি নারীর জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।


নারী অধিকারের দাবিতে ভারতের রাজ ঘরানার রানীরা..

পূর্ণ নাম: কিট্টুর চেন্নাম্মা

জন্ম: ২৩ অক্টোবর ১৭৭৮, কান্নাডা, কর্ণাটক

বিবাহ: কিট্টুরের রাজা মালসা সর্দেশাই-এর সঙ্গে

বিদ্রোহ: ব্রিটিশদের "ডকট্রিন অফ ল্যাপস" নীতির বিরুদ্ধে

কিট্টুর চেন্নাম্মা (Kittur Chennamma) ছিলেন কর্ণাটকের কিট্টুর রাজ্যের রাণী এবং ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম ভারতীয় বিদ্রোহীদের অন্যতম। তিনি ১৮২৪ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন, যা ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের আগেই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম দিকের প্রতিরোধ হিসেবে বিবেচিত হয়।

তিনি আজও কর্ণাটক এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে বীরত্বের প্রতীক হিসেবে স্মরণীয়।

পূর্ণ নাম: সুনীতি দেবী

জন্ম: ৩০ সেপ্টেম্বর ১৮৬৪

পিতা: কেশবচন্দ্র সেন (ব্রাহ্ম সমাজের অন্যতম নেতা)

বিবাহ: মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ ভূপ বাহাদুর (কুচবিহারের রাজা)

সন্তান: তাঁর সন্তানদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ এবং রাজকুমারী প্রভাবতী দেবী

সুনীতি দেবী ছিলেন কুচবিহারের মহারানি এবং ভারতের প্রথম শিক্ষিত ও প্রগতিশীল রাণীদের অন্যতম। তিনি সমাজ সংস্কার, নারী শিক্ষা এবং আধুনিক চিন্তাধারার প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি নারী শিক্ষার প্রসার ও সমাজ সংস্কার নিয়ে কাজ করেছিলেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সংস্পর্শে এসে তিনি আধুনিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন। তাঁর "দ্য স্টোরি অব এ হিন্দু প্রিন্সেস" (The Story of a Hindu Princess) গ্রন্থটি নারীদের অবস্থান ও সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে। সুনীতি দেবী শুধু কুচবিহারের রাণীই নন, তিনি একজন শিক্ষিত, সংস্কারমনা ও সমাজ সচেতন নারী ছিলেন, যিনি ভারতীয় নারীদের অগ্রগতির জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবেন।

পূর্ণ নাম: কেম্পানাঞ্জাম্মানি দেবী

শাসনকাল: প্রধানত কর্ণাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজবংশের অংশ হিসেবে পরিচিত

অবদান: রাজ্য শাসনে দক্ষতা প্রদর্শন, সমাজ সংস্কার ও প্রশাসনিক উন্নয়ন, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রতিরোধ সংগঠিত করা

কেম্পানাঞ্জাম্মানি দেবী (Kempananjammanni Devi) ছিলেন মহীশূর রাজ্যের এক প্রতিভাধর এবং প্রভাবশালী রানি। তিনি মহীশূরের রাজা চামারাজেন্দ্র ওডেয়ারের স্ত্রী এবং মহীশূরের যুবরাজ নালবাদী কৃষ্ণরাজ ওডেয়ারের মা ছিলেন। ১৮৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি "বণশঙ্করি রানি" নামেও পরিচিত ছিলেন। তার শাসনকালে মহীশূর রাজ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমে বিশাল উন্নতি সাধিত হয়েছিল।

পূর্ণ নাম: রাণী জিন্দ কউর

জন্ম: ১৮১৭

বিবাহ: মহারাজা রণজিৎ সিং-এর সঙ্গে

পুত্র: মহারাজা দলীপ সিং

রাণী জিন্দ কউর (Rani Jind Kaur) ছিলেন শিখ সাম্রাজ্যের শেষ মহারাজা দলীপ সিং-এর মা এবং মহারাজা রণজিৎ সিং-এর সর্বকনিষ্ঠ স্ত্রী। তিনি শিখ সাম্রাজ্যের পতনের সময় সাহসী প্রতিরোধের জন্য পরিচিত ছিলেন এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে শিখ শক্তির শেষ প্রতীক হিসেবে গণ্য হন। ১৮৪৩ সালে মহারাজা শের সিং নিহত হলে, তাঁর শিশু পুত্র দলীপ সিংকে সিংহাসনে বসানো হয়। রাণী জিন্দ কউর কার্যত পাঞ্জাবের শাসক ও রাজপরিবারের রেজেন্ট হন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে শিখ বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে বন্দি করা হয়। ব্রিটিশরা তাঁকে প্রথমে শেহরান কিলায় বন্দি রাখে এবং পরে নেপালে নির্বাসিত করে। বহু বছর পর ১৮৬০ সালে তিনি ইংল্যান্ডে তাঁর পুত্র দলীপ সিং-এর কাছে যান। ১৮৬৩ সালে লন্ডনে তাঁর মৃত্যু হয় এবং পরে তাঁর দেহস্থ কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ছিলেন একজন সাহসী, কূটনৈতিক এবং দৃঢ়চেতা শাসক।

পূর্ণ নাম: রানি সীতা দেবী

জন্ম: আনুমানিক ২০শ শতকের শুরুর দিকে

বিবাহ: কপূরথলার মহারাজা পরমজিৎ সিং

কপূরথলার রানি সীতা দেবী ছিলেন ভারতের অন্যতম বিখ্যাত এবং গ্ল্যামারাস রাজকন্যাদের একজন। তিনি কপূরথলা রাজ্যের মহারাজা পরমজিৎ সিং-এর স্ত্রী ছিলেন এবং তাঁর বিলাসবহুল জীবনধারা ও ইউরোপীয় উচ্চবিত্ত সমাজের সঙ্গে সংযোগের জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত আধুনিক, ফ্যাশন-সচেতন এবং বিলাসবহুল জীবনধারার প্রতীক।

ইউরোপীয় সমাজে তিনি "ইন্ডিয়ান ওয়ালিস সিম্পসন" নামে পরিচিত ছিলেন, কারণ তাঁর জীবনধারা ব্রিটিশ সমাজের বহু উচ্চবিত্ত মহিলার মতো ছিল। বিখ্যাত গহনার সংগ্রহ এবং বিশ্বের বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলোর প্রতি তাঁর অনুরাগ ছিল।রানি সীতা দেবী ভারতীয় রাজপরিবারের এক ব্যতিক্রমী চরিত্র ছিলেন, যিনি ঐতিহ্যগত রীতিনীতি থেকে বেরিয়ে ইউরোপের রাজারানি ও ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি শুধু বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্যই পরিচিত ছিলেন না, বরং তাঁর আত্মবিশ্বাসী এবং স্বাধীনচেতা ব্যক্তিত্ব তাঁকে অনন্য করে তুলেছিল।

 

বন্ধ্যাত্ব এবং আইভিএফ

সন্তান জন্মদান জীবনের স্বাভাবিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়, তবে অনেক দম্পতির জন্য এটি সহজ নয়। শারীরিক বা হরমোনজনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেকেই বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভোগেন। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে এখন বন্ধ্যাত্ব কোনো অসীম বাধা নয়, বরং যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব। আইভিএফ (In-Vitro Fertilization) বা টেস্ট টিউব বেবি পদ্ধতি বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় আক্রান্ত দম্পতিদের জন্য এক নতুন আশার আলো এনে দিয়েছে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে বহু দম্পতি তাদের মাতৃত্ব ও পিতৃত্বের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন।

বন্ধ্যাত্ব কী?

বন্ধ্যাত্ব (Infertility) হলো এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যেখানে কোনো দম্পতি নিয়মিত এক বছর ধরে স্বাভাবিক দাম্পত্য সম্পর্কের পরেও সন্তান ধারণে ব্যর্থ হন। এটি পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে এবং চিকিৎসার মাধ্যমে অনেক সময় সমাধানযোগ্য।

বন্ধ্যাত্বের কারণ:


নারীদের ক্ষেত্রে:


1.ডিম্বাশয়ের সমস্যা: অনিয়মিত ডিম্বস্ফোটন (Ovulation Disorder), পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) ইত্যাদি।

2.ফ্যালোপিয়ান টিউবের বাধা: টিউব ব্লক হলে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন বাধাগ্রস্ত হয়।

3.এন্ডোমেট্রিওসিস: জরায়ুর ভেতরের টিস্যু অন্য জায়গায় বেড়ে গেলে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।

4.হরমোনজনিত সমস্যা: প্রোল্যাকটিন বা থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।

5.জরায়ুর সমস্যা: জরায়ুর গঠনগত সমস্যা বা ফাইব্রয়েড টিউমার।

পুরুষদের ক্ষেত্রে:

1.শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান কম থাকা।

2.শুক্রাণুর গতিশীলতা কম হওয়া।

3.হরমোনজনিত সমস্যা।

4.বীর্যনালী বন্ধ থাকা।

5.ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন ও অতিরিক্ত মানসিক চাপ।


আইভিএফ (IVF) কী?

আইভিএফ বা ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন হলো বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার অন্যতম জনপ্রিয় ও কার্যকর পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় নারীর ডিম্বাণু ও পুরুষের শুক্রাণুকে শরীরের বাইরে ল্যাবরেটরিতে নিষেক করিয়ে ভ্রূণ তৈরি করা হয়, এরপর তা নারীর জরায়ুতে স্থাপন করা হয়।

আইভিএফ-এর ধাপসমূহ:

1. ডিম্বস্ফোটন উত্তেজনা: ওষুধ দিয়ে নারীর শরীরে বেশি ডিম্বাণু উৎপাদন করানো হয়।

2. ডিম্বাণু সংগ্রহ: পরিপক্ব ডিম্বাণু বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ করা হয়।

3. শুক্রাণু সংগ্রহ: পুরুষের থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করা হয়।

4. ল্যাবে নিষেক (Fertilization): ডিম্বাণু ও শুক্রাণুকে একত্রে রেখে নিষেক ঘটানো হয়।

5. ভ্রূণ স্থানান্তর: নিষিক্ত ডিম (ভ্রূণ) জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়।

6. গর্ভধারণ পরীক্ষা: দুই সপ্তাহ পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা হয়।

আইভিএফ কাদের জন্য উপযুক্ত?

1.দীর্ঘদিন ধরে সন্তান না হওয়া দম্পতি।

2.ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকলে।

3.পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা বা কার্যক্ষমতা কম থাকলে।

4.এন্ডোমেট্রিওসিস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) থাকলে।

5.অজানা কারণে বন্ধ্যাত্ব হলে।

আইভিএফ-এর সাফল্যের হার

আইভিএফ-এর সাফল্য নির্ভর করে বয়স, শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর। সাধারণত ৩৫ বছরের নিচে সাফল্যের হার ৫০% পর্যন্ত হতে পারে, কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি কমে যায়।


বন্ধ্যাত্ব এখন আর অযৌক্তিক ভয় বা হতাশার কারণ নয়। আধুনিক চিকিৎসা ও আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক দম্পতি সফলভাবে সন্তান ধারণ করতে সক্ষম হচ্ছেন। সময়মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।

 

সান্ধ্য আড্ডায় পনিরের সেরা ১০ রেসিপি..

চায়ের সঙ্গে টা বলতে সবার প্রথমে কি মাছ মাংসের কথাই মাথায় আসে? আর নিরামিষ বললে মন বলে স্ট্রিক্টলি নো নো!! তাহলে এই ১০ টি জলখাবার আপনার মন ভালো করে দিতে বাধ্য!


যে যাই বলুক, পনির দিয়ে তৈরি চটপটা এই স্ন্যাকস গুলো যেকোনো চায়ের পার্টিকে আরো বেশি সুস্বাদু এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। মুচমুচে, মশলাদার বা চিজি; যেকোনো ধরনের স্বাদই হোক না কেন, এ জিনিস এক কাপ গরম কফি বা চায়ের সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়। তবে আর ভাবনা কেন? অতিথি আপ্যায়ন হোক অথবা ঘরোয়া চায়ের জলসা, মৌতাত জমাতে বানিয়ে ফেলতেই পারেন পনির দিয়ে বানানো অসাধারণ এই পদগুলি।

চিলি পনির


কী কী লাগবে

পনির ফ্রাই করার জন্য:

পনির (কিউব করে কাটা) - ২৫০ গ্রাম

কর্নফ্লাওয়ার - ৩ টেবিল চামচ

চালের গুঁড়ো (ঐচ্ছিক) - ১ টেবিল চামচ

লবণ - স্বাদ অনুযায়ী

Shalimar's Chef Spices গোলমরিচ গুঁড়ো - ১ চা চামচ

Shalimar's তেল - ভাজার জন্য

গ্রেভির জন্য:

পেঁয়াজ (চৌকো কাটা) - ১ টি

ক্যাপসিকাম (সবুজ/লাল/হলুদ) - ১ টি (চৌকো কাটা)

কাঁচা লঙ্কা - ২-৩ টি (চেরা)

রসুন কুচি - ১ টেবিল চামচ

আদা কুচি - ১ চা চামচ

সয়া সস - ১ টেবিল চামচ

চিলি সস - ১ টেবিল চামচ

টমেটো সস - ২ টেবিল চামচ

ভিনেগার - ১ চা চামচ

চিনি - ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)

কর্নফ্লাওয়ার (১ টেবিল চামচ জল মিশিয়ে) - ১ টেবিল চামচ

লবণ - স্বাদ অনুযায়ী

Shalimar's তেল - ২ টেবিল চামচ

সাদা তিল (গার্নিশের জন্য) - ১ চা চামচ

পেঁয়াজ পাতা (কুচানো) - গার্নিশের জন্য

কীভাবে বানাবেন:

একটি পাত্রে কর্নফ্লাওয়ার, চালের গুঁড়ো, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং জল মিশিয়ে ঘন ব্যাটার তৈরি করুন। পনির কিউবগুলো ব্যাটারে ডুবিয়ে তেলে সোনালি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন। ভাজা পনিরগুলো টিস্যু পেপারে তুলে রাখুন।

একটি প্যানে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করুন। রসুন ও আদা কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম এবং কাঁচা লঙ্কা দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। সয়া সস, চিলি সস, টমেটো সস, ভিনেগার এবং চিনি দিয়ে ভালোভাবে মেশান। সামান্য জল দিয়ে গ্রেভি তৈরি করুন। কর্নফ্লাওয়ার মিক্স দিয়ে গ্রেভিতে ঘনত্ব আনুন। ভাজা পনির কিউবগুলো গ্রেভিতে দিয়ে ২-৩ মিনিট রান্না করুন, যাতে সস পনিরে ভালোভাবে মিশে যায়। উপরে সাদা তিল এবং পেঁয়াজ পাতা ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

পনির টিক্কা


কী কী লাগবে:

পনির (কিউব করা) - ২৫০ গ্রাম

দই - ১/২ কাপ

বেসন (ছোলা আটা) - ২ টেবিল চামচ

আদা-রসুন বাটা - ১ চা চামচ

লেবুর রস - ১ টেবিল চামচ

Shalimar's Chef Spices কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো - ১ চা চামচ (রঙের জন্য)

Shalimar's Chef Spices ধনে গুঁড়ো - ১ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices জিরা গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices গরম মসলা - ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices চাট মসলা - ১ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices কাসুরি মেথি (শুকনো মেথি পাতা) - ১ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices হলুদ গুঁড়ো - ১/৪ চা চামচ

লবণ - স্বাদমতো

Shalimar's তেল - ২ টেবিল চামচ

ক্যাপসিকাম (কিউব করা) - ১টি

পেঁয়াজ (কিউব করা) - ১টি

টমেটো (বীজ ছাড়া, কিউব করা) - ১টি

কীভাবে বানাবেন:

একটি বড় বাটিতে দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, বেসন এবং সমস্ত মসলা (কাশ্মীরি লাল লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, গরম মসলা, চাট মসলা, কাসুরি মেথি, হলুদ গুঁড়ো, লবণ) ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এতে ২ টেবিল চামচ তেল যোগ করে আরও ভালোভাবে মেশান। পনির কিউব এবং ইচ্ছা করলে ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, টমেটো যোগ করুন, সবকিছু মেরিনেট করে ঢেকে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। কাঠি (স্কিউয়ার) নিন এবং পনির, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, টমেটো একের পর এক গেঁথে নিন। গ্যাসে ননস্টিক প্যান বা তাওয়া গরম করুন। সামান্য তেল ব্রাশ করে কাঠি গুলো দিয়ে সেকে নিন। মাঝারি আঁচে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব দিক ভালো করে সোনালি হওয়া পর্যন্ত সেকে নিন। পনির টিক্কা একটি সার্ভিং প্লেটে তুলে লেবুর রস এবং সামান্য চাট মসলা ছিটিয়ে দিন। গরম গরম পরিবেশন করুন কাঁচা পেঁয়াজ ও ধনেপাতার চাটনির সঙ্গে।

পনির পকোড়া


কী কী লাগবে:

পনির (কাটা ছোট ছোট কিউব) - ২০০ গ্রাম

বেসন - ১/২ কাপ

চালের গুঁড়ো - ২ টেবিল চামচ (কুড়মুড়ে করার জন্য)

Shalimar's Chef Spices কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো - ১ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices ধনে গুঁড়ো - ১ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices জিরা গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices হলুদ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices গরম মশলা - ১/২ চা চামচ

আদা-রসুন বাটা - ১ চা চামচ

লবণ - স্বাদ অনুযায়ী

জল - পরিমাণ মতো (ঘন ব্যাটার তৈরি করতে)

কাঁচালঙ্কা কুচি - ১ টি (ঐচ্ছিক)

ধনে পাতা কুচি - ১ টেবিল চামচ

তেল - ভাজার জন্য

কীভাবে বানাবেন:

একটি বড় বাটিতে বেসন, চালের গুঁড়ো, লবণ, হলুদ, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, গরম মশলা, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা কুচি, এবং ধনে পাতা কুচি মিশিয়ে নিন। সামান্য জল যোগ করে একটি ঘন ব্যাটার তৈরি করুন যাতে এটি পনিরে ভালোভাবে লেপন হয়। কাটা পনির কিউবগুলো ব্যাটারে ডুবিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। একটি কড়াইতে তেল গরম করুন। ব্যাটার মাখানো পনির কিউব গরম তেলে ছেড়ে দিন এবং মাঝারি আঁচে ভাজুন যতক্ষণ না সোনালি বাদামি রঙের হয়। ভাজার পর বাড়তি তেল ঝরানোর জন্য টিস্যু পেপারের উপর রাখুন। গরম গরম পনির পকোড়া টমেটো সস বা ধনে-পুদিনা চাটনির সাথে পরিবেশন করুন।

পনির কাবাব


কী কী লাগবে:

পনির (মিহি করে কাটা বা গ্রেট করা) - ২০০ গ্রাম

সেদ্ধ আলু (মিহি করে মেশানো) - ২ টি মাঝারি

ব্রেডক্রাম্বস - ১/২ কাপ

বেসন (ভাজা) - ২ টেবিল চামচ

আদা-রসুন বাটা - ১ চা চামচ

কাঁচালঙ্কা কুচি - ১ টি

ধনে পাতা কুচি - ২ টেবিল চামচ

Shalimar's Chef Spices জিরা গুঁড়ো - ১ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices ধনে গুঁড়ো - ১ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices গরম মশলা - ১/২ চা চামচ

লবণ - স্বাদ অনুযায়ী

Shalimar's Chef Spices কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ (রঙের জন্য)

লেবুর রস - ১ চা চামচ

কর্নফ্লাওয়ার - ২ টেবিল চামচ (বাইরে ক্রিস্পি করার জন্য)

তেল - ভাজার জন্য

কীভাবে বানাবেন:

একটি পাত্রে গ্রেট করা পনির, সেদ্ধ আলু, ব্রেডক্রাম্বস, ভাজা বেসন, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনে পাতা, জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, গরম মশলা, লবণ, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো এবং লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এই মিশ্রণটি ভালোভাবে মাখিয়ে নরম ডো তৈরি করুন। মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট অংশ নিয়ে গোল বা চ্যাপ্টা কাবাবের আকার দিন। প্রতিটি কাবাবের গায়ে সামান্য কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে দিন যাতে এটি ভাজার সময় ক্রিস্পি হয়। একটি প্যানে কিছু তেল গরম করুন (কম তেল দিয়ে শ্যালো ফ্রাই করতে পারেন বা বেশি তেল দিয়ে ডিপ ফ্রাই করতে পারেন)। মাঝারি আঁচে কাবাবগুলো দু'পাশ থেকে ভালোভাবে ভেজে নিন যতক্ষণ না সোনালি বাদামি হয়ে যায়। অতিরিক্ত তেল ঝরানোর জন্য টিস্যু পেপারে রেখে দিন। গরম গরম পনির কাবাব ধনে-পুদিনা চাটনি বা টমেটো সসের সাথে পরিবেশন করুন।

তন্দুরি পনির টিক্কা

কী কী লাগবে:

পনির (কিউব করে কাটা) - ২০০ গ্রাম

ক্যাপসিকাম (লাল, সবুজ, হলুদ – কিউব করে কাটা) - ১/২ কাপ

পেঁয়াজ - ১ টি

টমেটো - ১ টি

দই (গাঢ়) - ১/২ কাপ

আদা-রসুন বাটা - ১ চা চামচ

লেবুর রস - ১ টেবিল চামচ

Shalimar's Chef Spices কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো - ১ চা চামচ (চমৎকার লাল রঙের জন্য)

Shalimar's Chef Spices হলুদ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices ধনে গুঁড়ো - ১ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices জিরা গুঁড়ো - ১ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices গরম মশলা - ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices চাট মশলা - ১/২ চা চামচ

মেথি গুঁড়ো (শুকনো মেথি পাতা গুড়ো করে) - ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)

Shalimar's সরিষার তেল - ১ টেবিল চামচ

লবণ - স্বাদ অনুযায়ী

ভাজার জন্য:

কাঠকয়লায় সুগন্ধি দেওয়ার জন্য (ঐচ্ছিক)

তেল বা মাখন - প্রয়োজন মতো

কীভাবে বানাবেন:

একটি বড় পাত্রে দই, আদা-রসুন বাটা, লেবুর রস, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, গরম মশলা, চাট মশলা, মেথি গুঁড়ো, সরিষার তেল, ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণে পনির কিউব, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, ও টমেটো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন যাতে মশলাগুলো ভালোভাবে মিশে যায়। একটি ছোট গরম কয়লা একটি বাটিতে রাখুন, তার উপর সামান্য ঘি বা তেল দিন এবং ঢেকে দিন। এতে সুন্দর স্মোকি ফ্লেভার আসবে। ওভেন ২০০°C তাপমাত্রায় প্রি-হিট করুন। ম্যারিনেট করা পনির ও সবজি স্কিউয়ার (লৌহ বা কাঠের কাঠি) তে গেঁথে নিন। ১৫-২০ মিনিট গ্রিল করুন বা যতক্ষণ না হালকা পোড়া ভাব হয়। মাঝে মাঝে ব্রাশ দিয়ে তেল বা মাখন লাগিয়ে দিন। নন-স্টিক প্যানে ১-২ টেবিল চামচ তেল বা মাখন গরম করুন। ম্যারিনেট করা পনির ও সবজি মাঝারি আঁচে ভাজুন যতক্ষণ না সোনালি রঙের হয়। গরম গরম পনির টিক্কা পরিবেশন করুন ধনে-পুদিনা চাটনি ও টমেটো সসের সাথে।

পনির রোল


কী কী লাগবে:

রুটি বা পরোটা – ২-৩টি

পনির – ১ কাপ (মিহি করে কাটা বা গ্রেট করা)

ক্যাপসিকাম (কুচি করা) – ১/৪ কাপ

গাজর (কুচি করা) – ১/৪ কাপ

পেঁয়াজ (মিহি কাটা) – ১/৪ কাপ

ধনেপাতা (কুচি করা) – ২ টেবিল চামচ

লবণ – স্বাদ অনুযায়ী

Shalimar's Chef Spices চাট মসলা – ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices লাল লঙ্কা গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices গোলমরিচ গুঁড়ো – ১/৪ চা চামচ

মেয়োনিজ বা টমেটো সস – ২ টেবিল চামচ

তেল – ১ টেবিল চামচ

কীভাবে বানাবেন:

একটি বাটিতে গ্রেট করা পনির, ক্যাপসিকাম, গাজর, পেঁয়াজ ও ধনেপাতা নিন। এর সাথে লবণ, চাট মসলা, লাল মরিচ গুঁড়া ও গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে দিন। ভালোভাবে মেশানোর পর এতে মেয়োনিজ বা টমেটো সস মেশান। রুটি বা পরোটা হালকা গরম করে নিন। প্রতিটি রুটির উপরে পনির মিশ্রণ সমানভাবে ছড়িয়ে দিন। রুটিটি রোলের মতো গুটিয়ে নিন এবং শেষ প্রান্তটি একটু সস লাগিয়ে আটকে দিন। একটি প্যানে সামান্য তেল গরম করুন। রোলগুলো হালকা বাদামি করে ভাজুন বা গ্রিল করুন, যাতে ক্রিস্পি হয়। রোলগুলো গরম গরম পরিবেশন করুন টমেটো কেচাপ বা ধনেপাতা চাটনির সঙ্গে। এটি খুব সহজ ও সুস্বাদু একটি খাবার, যা বাচ্চা ও বড় সবাই পছন্দ করবে!

পনির ফ্রাই


কী কী লাগবে:

পনির – ২০০ গ্রাম (চৌকো টুকরো করা)

ময়দা – ২ টেবিল চামচ

কর্নফ্লাওয়ার – ২ টেবিল চামচ

ব্রেডক্রাম্বস – ১ কাপ

ডিম – ১টি

লবণ – ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices লাল লঙ্কা গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices গোলমরিচ গুঁড়ো – ১/৪ চা চামচ

ওরিগানো / মিক্সড হার্বস – ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)

Shalimar's তেল – ভাজার জন্য

কীভাবে বানাবেন:

পনির ১ ইঞ্চি লম্বা বা চৌকো টুকরো করে নিন। টুকরোগুলো বেশি নরম হলে ফ্রিজে ১৫-২০ মিনিট রেখে একটু শক্ত করে নিন। একটি বাটিতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, লবণ, লাল মরিচ গুঁড়ো ও গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এতে ২-৩ টেবিল চামচ দিন এবং মিশিয়ে ঘন ব্যাটার তৈরি করুন। আরেকটি বাটিতে ডিম ফেটে নিন। প্রতিটি পনির টুকরো প্রথমে ময়দার ব্যাটারে ডুবিয়ে নিন। এরপর ডিমের মিশ্রণে দিন। তারপর ভালোভাবে ব্রেডক্রাম্বসে গড়িয়ে নিন। সব পনির টুকরো এভাবে তৈরি করে ১০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন, যাতে ভালোভাবে লেপ লেগে থাকে। একটি প্যানে পর্যাপ্ত তেল গরম করুন। পনির টুকরোগুলো মাঝারি আঁচে সোনালি বাদামি ও ক্রিস্পি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। টিস্যু পেপারের উপর তুলে রাখুন, যাতে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। গরম গরম পনির ফ্রাই পরিবেশন করুন টমেটো কেচাপ বা গারলিক মেয়োনিজের সাথে। এই রেসিপিটি খুব সহজ, কিন্তু স্বাদে অসাধারণ!

পনির কাটলেট


কী কী লাগবে:

পনির (গ্রেট করা) – ১ কাপ

সিদ্ধ আলু (ম্যাশ করা) – ২টি মাঝারি

পেঁয়াজ (মিহি কাটা) – ১/৪ কাপ

ক্যাপসিকাম (কুচি করা) – ২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)

কাঁচা লঙ্কা (মিহি কাটা) – ১-২টি

ধনেপাতা (কুচি করা) – ২ টেবিল চামচ

লবণ – স্বাদ অনুযায়ী

Shalimar's Chef Spices গোলমরিচ গুঁড়ো– ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices লাল লঙ্কা গুঁড়ো– ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices গরম মসলা গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices চাট মসলা – ১/২ চা চামচ (ঐচ্ছিক)

লেবুর রস – ১ চা চামচ

ময়দা – ২ টেবিল চামচ

কর্নফ্লাওয়ার – ২ টেবিল চামচ

ডিম – ১টি (বিকল্প: দুধ ২ টেবিল চামচ)

ব্রেডক্রাম্বস – ১ কাপ

Shalimar's তেল – ভাজার জন্য

কীভাবে বানাবেন:

একটি বড় পাত্রে গ্রেট করা পনির ও ম্যাশ করা আলু নিন। এর সাথে পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, কাঁচা লঙ্কা, ধনেপাতা ও সব মশলা মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মেখে নরম ডো তৈরি করুন। হাতে তেল মেখে ছোট ছোট বল বানান এবং পছন্দ অনুযায়ী গোল বা ওভাল আকৃতি দিন। একটি পাত্রে ময়দা ও কর্নফ্লাওয়ার একটু জল দিয়ে ঘন ব্যাটার বানিয়ে নিন। অন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে রাখুন (নাহলে দুধ ব্যবহার করতে পারেন)। প্রতিটি কাটলেট প্রথমে ময়দার ব্যাটারে ডুবিয়ে নিন। এরপর ডিমের মিশ্রণে দিন। তারপর ব্রেডক্রাম্বসে গড়িয়ে নিন, যাতে ভালোভাবে কোটিং হয়। সব কাটলেট তৈরি করে ১০-১৫ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন, এতে ভাজার সময় কোটিং খুলে যাবে না। একটি প্যানে পর্যাপ্ত তেল গরম করুন।মাঝারি আঁচে কাটলেটগুলো সোনালি বাদামি ও ক্রিস্পি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। টিস্যু পেপারের উপর তুলে রাখুন, যাতে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। গরম গরম পনির কাটলেট পরিবেশন করুন টমেটো কেচাপ, মেওনেজ বা ধনেপাতা চাটনির সাথে। এটি খুবই সহজ, সুস্বাদু এবং বাচ্চা-বড় সবার পছন্দের একটি খাবার!

পনির কবিরাজি


কী কী লাগবে:

পনির (চৌকো বা স্ট্রিপ কাটা) – ২০০ গ্রাম

সিদ্ধ আলু (ম্যাশ করা) – ১টি

পেঁয়াজ (মিহি কাটা) – ১/৪ কাপ

কাঁচা লঙ্কা (মিহি কাটা) – ১-২টি

ধনেপাতা (কুচি করা) – ২ টেবিল চামচ

লবণ – স্বাদ অনুযায়ী

Shalimar's Chef Spices গোলমরিচ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices গরম মসলা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ

Shalimar's Chef Spices চাট মসলা – ১/২ চা চামচ

লেবুর রস – ১ চা চামচ

ময়দা – ২ টেবিল চামচ

কর্নফ্লাওয়ার – ২ টেবিল চামচ

ব্রেডক্রাম্বস – ১ কাপ

ডিম – ২টি

তেল – ভাজার জন্য

কীভাবে বানাবেন:

একটি বড় পাত্রে গ্রেট করা পনির, ম্যাশ করা আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা ও ধনেপাতা নিন। এর সাথে লবণ, গোলমরিচ, গরম মসলা, চাট মসলা ও লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ভালোভাবে গেঁথে নরম ডো তৈরি করুন। হাতে তেল মেখে মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট অংশ নিয়ে চ্যাপ্টা বা ওভাল আকৃতি দিন। একটি বাটিতে ময়দা ও কর্নফ্লাওয়ার সামান্য জল দিয়ে ঘন ব্যাটার তৈরি করুন। অন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটে রাখুন। প্রতিটি পনির কাটলেট প্রথমে ময়দার ব্যাটারে ডুবিয়ে নিন। এরপর ডিমের মিশ্রণে দিন। তারপর ব্রেডক্রাম্বসে গড়িয়ে নিন, যাতে ভালোভাবে কোটিং হয়। সব কাটলেট তৈরি করে ১০-১৫ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন, এতে কোটিং ভালোভাবে বসবে। একটি প্যানে পর্যাপ্ত তেল গরম করুন। পনির কাটলেটগুলো ডুবো তেলে সোনালি বাদামি ও ক্রিস্পি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। টিস্যু পেপারের উপর তুলে রাখুন, যাতে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। গরম গরম পনির কবিরাজি পরিবেশন করুন কাসুন্দি, টমেটো কেচাপ বা ধনেপাতা-পুদিনা চাটনির সাথে। এটি খেতে যেমন ক্রিস্পি, তেমনই দারুণ সুস্বাদু!

 


Comments


ssss.jpg
sssss.png

QUICK LINKS

ABOUT US

WHY US

INSIGHTS

OUR TEAM

ARCHIVES

BRANDS

CONTACT

© Copyright 2025 to Debi Pranam. All Rights Reserved. Developed by SIMPACT Digital

Follow us on

Rojkar Ananya New Logo.png
fb png.png

 Key stats for the last 30 days

bottom of page