খেলোয়াড় মানে তাঁকে ফিট থাকতেই হবে। বাইশ গজে নিজের সেরাটা দিতে সে দিকে কোনও খামতি রাখেন না তাঁরা। ফর্ম থাকুক আর না থাকুক একটা জিনিস থাকতেই হবে, সেটা হচ্ছে ফিটনেস। ফলে প্লেয়ারদের সারাবছর কড়া ডায়েটে থাকতে হয়। তবে মাঝে মাঝে চিট মিল করেন প্রায় সবাই। আর সেই চিট মিলে প্লেটে থাকে তাঁদের পছন্দের সব খাবার। দেখে নিন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্লেয়ারদের পছন্দের খাবারের তালিকা সম্পূর্ণ রেসিপি সহ।
রোহিত শর্মা
সবজি ডাল
কী কী লাগবে
মুগডাল ২ কাপ,
নুন স্বাদ মতো,
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ,
চেরা কাঁচালঙ্কা ২ টো,
টমেটো কুচি,
কড়াইশুঁটি,
শুকনো লঙ্কা,
তেজপাতা,
আদা বাটা,
সর্ষের তেল,
ঘি,
গরমমশলা গুঁড়ো
কীভাবে বানাবেন
ডাল শুকনো খোলায় ভেজে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিন।
পরিমাণ মতো জল, নুন, হলুদ গুঁড়ো, চেরা কাঁচালঙ্কা, সবজি দিয়ে সেদ্ধ করুন।
তেল গরম করে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা,আদা বাটা ফোড়ন দিয়ে ডাল ঢেলে দিন।
ঘি, গরমমশলা, চিনি মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
বিরাট কোহলি
ছোলে ভাটুরে
কী কী লাগবে
ছোলা,
পেঁয়াজ কুচি,
কাঁচালঙ্কা,
আদা কুচি,
রসুন কুচি,
টমেটো পেস্ট,
হলুদ গুঁড়ো,
ধনে গুঁড়ো,
গরম মশলা গুঁড়ো,
গোলমরিচ গুঁড়ো,
কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো,
আমচুর গুঁড়ো,
গোটা জিরে,
সামান্য জোয়ান,
তেজপাতা,
ছোট এলাচ,
লবঙ্গ,
দারুচিনি,
শুকনো লঙ্কা,
কাসৌরি মেথি গুঁড়ো,
বাটার,
হিং,
নুন,
তেল
ভাটুরার জন্য:
ময়দা, সুজি, দই, ঘি, ইনো ও স্বাদ অনুযায়ী নুন
কীভাবে বানাবেন
কড়াইতে বা প্রেসার কুকারের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে গোটা জিরে, সামান্য জোয়ান, তেজপাতা, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে ৩০ সেকেন্ড নেড়ে নিন। এবার মিক্সিতে পেঁয়াজকুচি, কাঁচা লঙ্কা, আদা কুচি, রসুন কুচি দিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে তেলের মধ্যে দিয়ে নেড়ে নিতে হবে। কষিয়ে নেওয়ার পর টমেটো পেস্ট দিয়ে আবার ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে।এবার রান্নার মধ্যে হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, গরম মসলা গুঁড়ো, গোলমরিচের গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, আমচুর পাউডার মিশিয়ে কুকারের মধ্যে পরিমাণ মতো নুন এবং সামান্য জল মিশিয়ে কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে ধুয়ে রাখা ছোলা এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার পরিমাণ মতো জল যোগ করে নিন। অন্য একটি পাত্রে ১ কাপ জলের মধ্যে ১ চামচ চা পাতা দিয়ে লিকার বানিয়ে কুকারের মধ্যে দিয়ে দিন এবং এক চামচ বেকিং সোডা যোগ করে কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে ৬ থেকে ৭ টা সিটি দিয়ে নিন।উপর থেকে এর মধ্যে একটু কসৌরি মেথি গুঁড়ো ছড়িয়ে মিক্স করে নিন। তারপর একটি পাত্রে এক চামচ বাটারের মধ্যে সামান্য হিং, দুটো চেরা কাঁচা লঙ্কা, সামান্য আদা কুচি গরম করে ছোলের উপরে ছড়িয়ে দিন। তাহলেই তৈরি হয়ে গেল পাঞ্জাবি ছোলে।
ভাটুরে বানানোর জন্য:
প্রথমে একটি পাত্রে ২ কাপ ময়দা নিয়ে তার মধ্যে ২ চামচ সুজি, ২ চামচ দই, ১ চামচ পরিমাণ ঘি এবং পরিমাণ অনুসারে নুন দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে মেখে নিন। এর সঙ্গে ইনো যোগ করে হালকা গরম জল দিয়ে ময়দা মেখে ডো বানাতে হবে। তারপর ডোয়ের গায়ে সামান্য তেল মাখিয়ে ভিজে কাপড় দিয়ে রেখে দিন ১০ মিনিট। এবার ছোট ছোট লেচি কেটে বেলে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে গরম গরম ভেজে তুলুন ভাটুরে।
শুভমন গিল
বাটার চিকেন
কী কী লাগবে
মুরগির মাংস ১ কেজি
ম্যারিনেশনের জন্য
লাল লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
আদা, রসুন বাটা: ১ চা চামচ
দই: ৫০০ গ্রাম
নুন: স্বাদ মতো
গ্রেভির জন্য
সাদা মাখন: ১৭৫ গ্রাম
কালো জিরে: ১/২ চামচ
টোম্যাটো পিউরি: ৫০০ গ্রাম
চিনি: ১/২ চা চামচ
লাল লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
নুন: স্বাদ মতো
ফ্রেশ ক্রিম: ১০০ গ্রাম
মৌরি: ১/২ চা চামচ (থেঁতো করা)
কীভাবে বানাবেন
একটা বাটিতে আদা, রসুন বাটা, দই, নুন ও লাল লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। চিকেন এই মিশ্রণে ম্যারিনেড করে ফ্রিজে সারা রাত রেখে দিন। সারা রাত না রাখতে পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা রাখুন। ম্যারিনেড করা চিকেন তন্দুর বা ওভেনে সেঁকে নিন যতক্ষণ না তিন চতুর্থাংশ সেদ্ধ হয়ে আসছে।
কড়াইতে সাদা মাখন গরম করুন। এর মধ্যে টোম্যাটো পিউরি দিন। ২-৩ মিনিট নেড়ে জিরে, চিনি, লাল লঙ্কা গুঁড়ো ও নুন দিন। ভাল করে মিশিয়ে ম্যারিনেড করা চিকেন দিন। সাদা মাখন, ফ্রেশ ক্রিম, কাঁচা লঙ্কা, থেঁতো মৌরি দিয়ে ৩-৪ মিনিট নেড়ে চিকেন পুরোপুরি সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না হতে দিন। নান বা সাদা ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।
কে. এল. রাহুল
মশলা দোসা
কী কী লাগবে
ধোসার ব্যাটারের জন্য:
৩ কাপ আতপ চাল
দেড় কাপ বিউলির ডাল আধ কাপ সেদ্ধ চাল স্বাদমতো নুন
আলুর পুরের জন্য:
২টো বড় আলু সেদ্ধ
এক কাপ পেঁয়াজ কুচি
আধ কাপ নারকেল কুচি আধ কাপ টমেটো কুচি
এক টেবিল চামচ কাঁচা লঙ্কা কুচি
এক টেবিল চামচ কারিপাতা দুই চা চামচ মটর সেদ্ধ
এক চা চামচ বাদাম
আধ চা চামচ গোটা সর্ষে
আধ চা চামচ বিউলির ডাল
আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো স্বাদমতো নুন
কীভাবে বানাবেন
আগের দিন বা ১২ ঘণ্টা আগে চাল আর ডাল ভালো করে ধুয়ে আলাদা আলাদা করে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন এগুলো থেকে জল ছেঁকে নিয়ে আলাদা করে চাল ও ডাল মিহি করে পেস্ট করে নিন। এবার চাল ও ডাল পেস্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। আলুর পুরের জন্য, কড়াইতে অল্প সাদা তেল বা ১ চা চামচ বাটার দিয়ে হাফ চা চামচ গোটা সর্ষে, হাফ চা চামচ বিউলির ডাল, হাফ কাপ নারকেল কুচি দিয়ে একটু ভেজে নিন। এবার পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, টমেটো কুচি, কারিপাতা, মটর সেদ্ধ, বাদাম, হলুদ গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন দিয়ে একটু ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে সেদ্ধ আলু ছোট ছোট কুচি করে কেটে কড়াইতে দিয়ে দিন। সমস্তটা ভালো করে নেড়ে শুকনো একটা তরকারি তৈরি করতে হবে।
ধোসার জন্য, প্রথমে ব্যাটারটি নুন নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন যাতে খুব ঘন না হয়ে যায়। এবার ধোসা তৈরির তাওয়া গরম হয়ে এলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে একটু জল ছিটিয়ে দিন। এরপর এক চামচ ব্যাটার নিয়ে তাওয়াতে দিয়ে চামচের পেছন দিক দিয়ে গোল করে ঘুরিয়ে তাওয়ার ধার পর্যন্ত ছড়িয়ে দিন। এবার তার উপর এক চা চামচ সাদা তেল ছড়িয়ে দিন। হালকা লাল হয়ে ভেজে এলে ধোসার মাঝখান করে আলুর পুর লম্বা করে সাজিয়ে দিতে হবে। মুড়ে নিলেই তৈরী মশলা ধোসা।
শ্রেয়স আইয়ার
সাম্বার
কী কী লাগবে
এক কাপ মটর ডাল
এক টেবিল চামচ আদা বাটা ২-৩ টে লম্বা করে চেরা কাঁচা লঙ্কা
পরিমাণমতো গোটা সর্ষে
৩ টে তেজপাতা
২ টো গোটা শুকনো লঙ্কা
কয়েকটা কারিপাতা
পরিমাণমতো রাঁধুনি
এক কাপ বরবটি
দুই কাপ লাউ টুকরো
এক কাপ গাজর (ছোট করে টুকরো)
স্বাদ অনুযায়ী নুন
দুই চা চামচ সাদা তেল প্রয়োজন মতো জল
কীভাবে বানাবেন
মটর ডাল ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার প্রেসার কুকারে পরিমাণমতো তেল গরম করে তাতে চেরা কাঁচা লঙ্কা, গোটা সর্ষে, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, রাঁধুনি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন দেওয়া হলে তাতে ডাল, কারিপাতা, বরবটি, কুচি করা লাউ, গাজর, নুন, হলুদ, আদা বাটা দিয়ে ভালো করে নেড়ে পরিমাণমতো জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। সমস্তটা সেদ্ধ হলে নুন টেস্ট করে নামিয়ে নিন।
হার্দিক পান্ডিয়া
পাও ভাজি
কী কী লাগবে
তেল ২ টেবিল চামচ
মাখন ৪ টুকরো
পেঁয়াজ কুচনো ১ কাপ
আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ
আলু, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, গাজর সহ আপনার পছন্দের সবজি চৌকো করে কাটা বড় ১ বাটি,
টমেটো ২ টি,
ধনেপাতা ও কাঁচালঙ্কা কুচনো প্রয়োজন মতো,
পাওভাজি মশলা ৪ টেবিল চামচ,
লেবু ১ টা,
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ,
নুন ও চিনি স্বাদমতো,
কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ,
পাও ব্রেড ৪ টি
কীভাবে বানাবেন
সমস্ত সবজি কেটে ধুয়ে রাখুন। এবার তা সেদ্ধ করে স্ম্যাশার দিয়ে সামান্য চটকে নিন। তারপর কড়াইয়ে তেল ও মাখন দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি দিয়ে একটু ভেজে, হলুদ, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো আর আদা-রসুন বাটা দিয়ে একটু কষে নিতে হবে। তারপর তাতে দিয়ে দিন সেদ্ধ করা সবজি। ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিয়ে সামান্য জল দিয়ে দিন। ফুটে ওঠে বেশ ঘন থকথকে চেহারা পেয়ে গেলে তাতে লেবুর রস আর পাওভাজি মশলা দিন। তারপর ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন।
মহম্মদ শামি
খান্ডভি
কী কী লাগবে
বেসন ১ কাপ
দই ১ কাপ
জল ১ কাপ
নুন,
হলুদ,
লঙ্কা,
আদা বাটা,
হিং স্বাদ অনুযায়ী
ফোড়ন এর জন্য:
সাদা তেল
কারি পাতা
সরষে (গোটা)
শুকনো লংকা
হিং
সাজানোর জন্য:
ধনেপাতা
নারকেল কোরা
কীভাবে বানাবেন
খান্ডভির সব জিনিস নিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। স্মুদ মিশ্রন হবে।
একটা ছড়ানো নন স্টিক পাত্রে হাল্কা আঁচে ক্রমাগত নাড়তে হবে। যখন জল টেনে আসবে তখন নামিয়ে থালায় তেল মাখিয়ে খুব পাতলা করে থালায় লেপে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা হলে ইঞ্চি দুয়েক মাপ আন্দাজে ছুরি দিয়ে হালকা করে কেটে নিতে হবে লম্বালম্বি। তারপর মাদুর গোটানোর মতন রোল করে এক একটি খান্ডভি গুটিয়ে নিন।
এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে সরষে, কারিপাতা, শুকনো লংকা, হিং ফোড়ন দিয়ে, ফোড়ন তৈরী হলে সেটা খান্ডভির উপর ছড়িয়ে দিন। ধনেপাতা কুচো আর নারকেল কোরা দিয়ে গার্নিশ করুন।
ঈশান কিসান
আলুর পরোটা
কী কী লাগবে
আলু সেদ্ধ ৫ টা আলুর
ময়দা ৩ কাপ
সাদা তেল
নুন,চিনি স্বাদমতো
জিরে গুঁড়ো হাফ চামচ
ধনে গুঁড়ো হাফ চামচ
কীভাবে বানাবেন
৩ কাপ ময়দার সঙ্গে ১.৫ চামচ নুন, ২.৫ চামচ চিনি ১/৪ কাপ সাদা তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। এবার পরিমাণ মতো জল দিয়ে ময়দাটা মাখতে থাকুন। এবার ২০-২৫ মিনিট এই মিশ্রণটি রাখুন। এবার বাড় বড় করে লেচি কেটে নিন। এদিকে আলু সেদ্ধর সঙ্গে জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন, গরম মশলা, কাঁচা লঙ্কা কুচি আর ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এবার প্যানে ঘি দিয়ে আলু মাখা নেড়ে চেড়ে নিন। সামান্য কসৌরি মেথি দিতে পারেন। বেস মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন। এবার ময়দার মিশ্রণ থেকে যে লেচি কেটেছেন তাতে গুঁড়ো ময়দা মাখিয়ে দিন। এবার ওর ভেতর সাবধানে আলুর পুর ভরে ফেলুন। এবার প্রথমে মোমের শেপে মুড়ে ফেলুন। তারপর গোল করে বেলে নিন। দেখবেন সুন্দর গোল করে বেলে নিতে পারবেন। প্রতিদিনের রুটিও এই কায়দায় বেলতে পারেন। এবার প্যানে পরোটা দিয়ে ভালো করে সেঁকে নিন। সেঁকা হলে সাইড থেকে ঘি ছড়িয়ে হালকা ভেজে নিন। ব্যাস রেডি পরোটা।
শার্দুল ঠাকুর
তন্দুরি প্রন
কী কী লাগবে
চিংড়ি মাছ ৫০০ গ্রাম,
ঘি বা মাখন ২ চা চামচ,
টক দই ২ চা চামচ,
আদা বাটা ১ চা চামচ,
রসুন বাটা ১ চা চামচ,
দারচিনি গুঁড়ো অল্প,
বড় এলাচ ১ টি,
জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ,
ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ,
শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ,
নুন স্বাদ মতো,
চিনি সামান্য
কীভাবে বানাবেন
চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে টক দই ও নুন দিয়ে মাখিয়ে নিন। এবার একে একে আদা বাটা , রসুন বাটা , জিরে গুঁড়ো , ধনে গুঁড়ো , শুকনো লংকার গুঁড়ো , এলাচ দানা ও সামান্য চিনি দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে এক ঘণ্টা ম্যারিনেট করতে আলাদা করে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর বাঁশের কাঠিতে চিংড়ি মাছগুলো গেঁথে অল্প ঘি মাখিয়ে প্যানে ভেজে নিন। দুই দিকই ভাল মতো ভাজবেন। তবে চিংড়ি মাছ বেশি রান্না করলে শক্ত হয়ে যায়। তন্দুর করা হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে লেবুর রস ছড়িয়ে সালাদের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন। মাইক্রোওভেনে করতে চাইলে ১৮০ ডিগ্রিতে প্রি-হিট করে ১০-১৫ মিনিট গ্রিল করে নিন।
জসপ্রীত বুমরাহ্
ধোকলা
কী কী লাগবে
১/২ কাপ চালের গুঁড়ো,
১ কাপ বেসন,
২ চামচ সাদা তেল,
২ চা চামচ চিনি,
১ কাপ টক দই,
সামান্য জল,
১ চিমটে হলুদ,
স্বাদ অনুযায়ী নুন,
২ চা চামচ ইনো ফ্রুট সল্ট,
ফোড়নের জন্য ১/২ চা চামচ সর্ষে বা রাই,
৩ টেবিল চামচ,
৩টি শুকনো লঙ্কা,
এক মুঠো কারিপাতা
কীভাবে বানাবেন
চালের গুঁড়ো, বেসন, চিনি, টক দই, হলুদ, তেল, নুন ও পরিমাণমতো জল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা ভাল করে ফেটিয়ে নিন। শেষে ইনো ফ্রুট সল্ট মিশিয়ে নিন। ইনো ফ্রুট সল্টের বদলে আপনি খাবার সোডাও মিশিয়ে নিতে পারেন। এবার একটি পাত্রে তেল মাখিয়ে নিন। এতে ধোকলা মিশ্রণটা ঢেলে দিন।
একটি সসপ্যানে জল গরম করুন। গোল ফুটে উঠলে তার উপর ধোকলার বাটিটা বসিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। অর্থাৎ ডবল বয়লার পদ্ধতি ধোকলা সেদ্ধ করে বসান। এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট করে সেদ্ধ করলেই ধোকলা সেদ্ধ হয়ে যাবে। আপনি চাইলে প্রেশার কুকারে ধোকলার বাটি বসিয়েও সেদ্ধ করে নিতে পারেন।
ধোকলা তৈরি হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। ধোকলা ঠান্ডা করুন। এবার চৌকো করে ধোকলা কেটে নিন। পরিবেশনের আগে ধোকলা গার্নিশ করতে হবে। ধোকলা গার্নিশের জন্য অন্য একটি ছোট সসপ্যানে তেল গরম করুন। এতে গোটা শুকনো লঙ্কা, রাই, কারিপাতা, সাদা তিল ফোড়ন দিন। ফোড়ন ভাজা হয়ে এটি ধোকলার উপর ছড়িয়ে দিন। ধোকলার উপর সামান্য জল ছড়িয়ে দেবেন। মিষ্টি চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন ধোকলা।
মহম্মদ সিরাজ
চিকেন বিরিয়ানি
কী কী লাগবে
১ কেজি চিকেন,
২ কাপ বাসমতী চাল,
৩টে মাঝারি সাইজের আলু খোসা ছাড়িয়ে অর্ধেক করে কাটা,
২ টো কাঁচালঙ্কা চেরা,
২ টো মাঝারি পেঁয়াজ কুচনো,
৮ কোয়া রসুন বাটা,
৩ ইঞ্চি আদা বাটা,
১ টা মাঝারি দারচিনি,
৩ টো ছোট এলাচ,
৪ টো লবঙ্গ,
২ টো তেজপাতা,
২ টেবল চামচ বিরিয়ানি মশলা,
২ টেবল চামচ ঘি,
১ টেবল চামচ তেল,
২ চা চামচ গোলাপ জল,
১ চা চামচ কেওড়া জল,
কেশর ১/২ চা চামচ,
১ চা চামচ মিঠা আতর,
২ টেবল চামচ উষ্ণ গরম দুধ, নুন
বিরিয়ানি মশলার জন্য
১টা ছোট দারচিনি,
২টো ছোট এলাচ,
২ টো লবঙ্গ,
অর্ধেক জায়ফল,
১ চা চামচ শা-জিরা,
৪-৫ টা গোলমরিচ,
১ টা বড় এলাচ,
১ টা স্টার এনিস
কীভাবে বানাবেন
চাল ভাল করে ধুয়ে নিন যতক্ষণ না পরিষ্কার জল বেরোচ্ছে। ধোয়া চাল ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। বিরিয়ানি মশলার সব উপকরণ ২ মিনিট শুকনো কড়াইতে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। চিকেন, ৩ চা চামচ বিরিয়ানি মশলা, অর্ধেক তেল, নুন, অর্ধেক গোলাপ জল, কেওড়া জল ও অর্ধেক আদা-রসুন বাটা দিয়ে ম্যারিনেড করে ১ ঘণ্টা রাখুন। হালকা গরম দুধে কেশর ভিজিয়ে দিন। ইচ্ছা হলে সামান্য হলুদ রং মেশাতে পারেন। কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। এবার ম্যারিনেড করা চিকেন দিয়ে ৩-৪ মিনিট বাদামি করে ভেজে উল্টে দিয়ে অন্য পিঠও বাদামি করে ভেজে নিন। বাকি ম্যারিনেড মশলা দিয়ে ১৫ মিনিট রান্না করুন। প্রয়োজন পড়লে একটু জল দিতে পারেন। যেহেতু বিরিয়ানি মশলা ছাড়া আর কোনও মশলা দেওয়া হয়নি তাই গ্রেভি কিছুক্ষণ পর স্বচ্ছ হয়ে যাবে। তখন আঁচ বন্ধ করে দিন। প্রেশার কুকারে ঘি গরম করে দারচিনি, ছোট এলাচ, লবঙ্গ ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। আধ মিনিট নেড়ে নিয়ে সুন্দর গন্ধ বেরোলে বাকি পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ সোনালি হয়ে এলে আদা-রসুন বাটা দিয়ে দিন। নাড়তে নাড়তে কাঁচা গন্ধ চলে গেলে ভেজানো চাল দিয়ে দিন। চাল দিয়ে ৩-৪ মিনিট ভাজা ভাজা করুন। ভাল করে ভাজা খুব জরুরি। যখন ভাজা হয়ে চালগুলো ঝুরঝুরে হয়ে যাবে তখন চিকেন ও আলু দিয়ে দিন। নুন, ২ চা চামচ বিরিয়ানি মশলা, বাকি গোলাপ জল, কেও়ড়া জল, মিঠা আতর দিয়ে দিন। এরপর চেরা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে মাঝারি আঁচে ১টা হুইসল ওঠা পর্যন্ত রান্না করুন। প্রেশার বের করে দিয়ে ঢাকনা খুলুন। পুরো বিরিয়ানি ক্যাসারোলে ঢেলে উপরে কেশর দেওয়া দুধ ঢেলে দিন। এ ভাবে ঢাকা দিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। চিকেন চাঁপ বা কষা মাংস ও রায়তা দিয়ে গরম বিরিয়ানি পরিবেশন করুন।
সূর্য কুমার যাদব
চিকেন মোমো
কী কী লাগবে
২ কাপ ময়দা,
২ চামচ তেল,
১ কাপ চিকেন কিমা,
১ কাপ পেঁয়াজ কুচি,
১ চামচ আদা কুচি,
১/২ কাপ ধনে পাতা কুচি,
২ চামচ বাটার,
নুন
কীভাবে বানাবেন
একটি বাটিতে চিকেনের কিমা, পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, ধনেপাতা কুচি, নুন ও মাখন নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। অন্য একটি বাটিতে অল্প নুন আর পরিমাণ মতো জল দিয়ে ময়দা শক্ত করে মেখে নিন। লেচি কেটে পাতলা করে ফেলে মাঝে পুর ভরে ইচ্ছে মতো শেপে মোমো গুলো গড়ে নিন। ২০-২৫ মিনিট স্টিম করে ঝাল ঝাল চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন।
রবীন্দ্র জাদেজা
ঠিকরা ডাল
কী কী লাগবে
২ কাপ বিউলির ডাল
১.৫ চা চামচ সর্ষের তেল
১/২ চা চামচ চিনি
১/২ চা চামচ গোটা জিরা
১ টি শুকনো লঙ্কা
১ টি তেজ পাতা
১ চা চামচ আদা বাটা
৪ টি কাঁচা লঙ্কা, কাটা
নারকেল কুচি পরিমাণ মতো
১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো
লবণ স্বাদ অনুযায়ী
১ চা চামচ ঘি
১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
ধনে পাতা কুচি
নারকেল স্লাইস করে কাটা
জল প্রয়োজন মত
কীভাবে বানাবেন
প্রেশার কুকারে আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা ডাল ও তার সাথে পরিমাণ মতো জল, ১/২ চা চামচ লবণ এবং অল্প পরিমাণ হলুদ যোগ করে সেদ্ধ করে নিন। সাধারণত ৩-৪ টি সিটি লাগে ভালো ভাবে সেদ্ধ হতে।
একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে গোটা জিরা, শুকনো লঙ্কা, তেজ পাতা যোগ করুন এবং ভাজুন। প্রায় ১ মিনিট খেয়াল রাখবেন যেন পুড়ে না যায়।
আদা বাটা, নারকেল কুচি, এবং কাঁচা লঙ্কা যোগ করে আরও একটুক্ষণ ভেজে নিন। এরপর সেদ্ধ করা ডাল, জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, লবণ যোগ করুন এবং ২ থেকে ৩ মিনিট ভেজে নিন যাতে মশলার গন্ধটা চলে যায়। পরিমাণ মতন জল যোগ করে ঢাকা দিয়ে ৫ মিনিট ফুটতে দিন। তারপর ঢাকনা খুলে ১ চা চামচ ঘি ও ১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো যোগ করে একটু নেড়ে ২ মিনিট রেখে দিন। এরপর উপর থেকে অল্প ধনেপাতা কুচি এবং স্লাইস করা কাটা নারকেল ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
রবীচন্দ্রন অশ্বীন
পনীর ক্যাপসিকাম
কী কী লাগবে
জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
কাশ্মীরি শুকনো লঙ্কা: ৩ টি
তেল: ২ টেবিল চামচ
রসুন: ২ কোয়া
আদার কুচি: এক চা চামচ
পেঁয়াজ কুচি: ১টি গোটা পেঁয়াজ
মিহি করে কুচনো টমেটো: দুটি
মাখন: ১ চা চামচ
তেজপাতা: ১টি
কাঁচালঙ্কা: ১টি
কসুরি মেথি: ১ চা চামচ
ক্যাপসিকাম: ১টি
হলুদ গুঁড়ো: ১ চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: আধ চাচামচ
পনির: ৩০০ গ্রাম
গরম মশলা: ১/২ চা চামচ
ধনেপাতা কুচি: ২ চা চামচ
কীভাবে বানাবেন
কড়াইতে মাখন গরম করে নিন। তার মধ্যে তেজপাতা, কাঁচালঙ্কা, কসুরি মেথি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। গন্ধ বার হলে তার মধ্যে দিন পেঁয়াজ আর ক্যাপসিকামের কুচি। এই মিশ্রণে দিন হলুদ আর কাঁচা লঙ্কার গুঁড়ো।
এবার কড়াইতে একে একে দিন তেল, রসুন থেঁতো, আদার কুচি, পেঁয়াজ কুচি, টমেটো। শেষে নুন দিয়ে ভাল করে কষাতে থাকুন।
কষতে কষতে মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে এক কাপ জল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঝোল গাঢ় হয়ে এলে তাতে পনির আর ক্রিম মেশান। নামানোর আগে গরম মশলার গুঁড়ো আর ধনে পাতা উপর থেকে ছড়িয়ে নিন।
Comments