top of page

নদীর ধারে নিরিবিলিতে অবসর যাপন!

শ্যামসুন্দরপুর। নাম শুনে মনে হতে পারে এ বুঝি কোনও বৈষ্ণব তীর্থ। বা মনে হতে পারে বৃন্দাবনের কাছে। না, কোনও তীর্থস্থান নয়, বৃন্দাবনের কাছেও নয়। শ্যামসুন্দরপুর নদীর ধারে নিরিবিলি কোলাহলমুক্ত এক চমৎকার জায়গা। এই বেড়ানোতে থাকবে ভারতীয়-সহ বাঙালির কাছে এক পবিত্র এবং প্রিয় নদী। যে-নদীর আকর্ষণে বারবার তার বুকে ভেসে যায় নৌকায় কিংবা পাড়ে বসে সময় কাটায়। সেই নদীর নাম গঙ্গা। সকলের কাছেই বড় কাছের নদী, প্রিয় নদী।

গঙ্গার ধারে শীতের নরম রোদ্দুর বড়ই প্রাণবন্ত। ভোরের শিশির লুটোপুটি খায় ভোরের নরম রোদ্দুরে। মাছরাঙা ছোঁ মেরে মাছ তুলে নেয় গঙ্গার বুক থেকে, ডুব দেয় পানকৌড়ি। কখনওসখনও ডেকে ডেকে যায় আকাশপথে ডানা মেলে উড়ে যাওয়া পরিযায়ী পাখির দল! মন করে ওঠে আনচান! অপূর্ব এক মায়া জাদু খেলা করে শ্যামসুন্দরপুরে গঙ্গার ধারে এলে। গঙ্গার এমন মজা পাবেন শ্যামসুন্দরপুরের অ্যাকোয়া রিট্রিটে এলে।


এখানকার সুইমিং পুল একেবারে গঙ্গার কোল ঘেঁষে। পুলে সাঁতার কাটলে মনে হবে বুঝি গঙ্গায় সাঁতার দিচ্ছেন। অ্যাকোয়া রিট্রিটটি একেবারে গঙ্গার ধারে। শীতের ছোট ছুটিতে অবকাশ যাপনের পক্ষে দারুণ জায়গা। গঙ্গার ধারে শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের কাছাকাছি আরও একটি জনপ্রিয় এবং চমৎকার জায়গা ডায়মন্ড হারবার। দূরত্ব ২০-২২ কিমি। নিরিবিলি সুন্দর সবুজ একটি গ্রাম শ্যামসুন্দরপুর। গঙ্গা এখানে বিশাল। নদীর বুকে অনবরত চলেছে অনবরত নৌকা এবং অন্যান্য জলযান। শীতে গঙ্গার রূপ অন্যরকম। নীল আকাশ জুড়ে সাদা মেঘের ভেলার ফাঁকে চুইয়ে পড়া রোদ্দুরে অপূর্ব লাগে নদীর জলে ভেসে যাওয়া সূর্যকিরণ! আর বর্ষার নদী আরও সুন্দর। নদীর জলছোঁয়া উদাসী শীতের বাতাস ভাললাগে বেশ। অবশ্যই পিঠে মিঠেকড়া রোদ্দুর লাগিয়ে। সূর্যাস্তের গঙ্গার জলে খেলে যায় জাদু।

ভোরের বেলা সূর্যোদয়ের সময় দেখা যায় নদীর শান্ত স্নিগ্ধ রূপ। আবার চাঁদনি রাতে ভরা জ্যোৎস্নায় গঙ্গার অন্য রূপ। সেই মুগ্ধ হতেই হবে। তার সঙ্গে যদি মিশেল হয় নৌকার বয়ে যাওয়ার ছলাৎছল ছলাৎছল শব্দ! মনে হবে, এ বড় সুখের সময় এ বড় ভাললাগার সময়! অ্যাকোয়া রিট্রিট লনের গা-বেয়েই বয়ে চলেছে নদী। লনের এদিক-ওদিক বসবার জায়গা। নিরিবিলিতে বসে বসে দিনভর দেখা যায় গঙ্গা। নদীর বুকে বয়ে চলে মাছধরা নৌকা। চলে রৌদ্র-ছায়ার খেলা। জ্যোৎস্না রাতে মায়াময় নদীতে সৃষ্টি হয় কবিতার মতো পরিবেশ! সবমিলিয়ে জমে যায় অবসর যাপনের দিনলিপি।

কীভাবে যাবেন: এসপ্ল্যানেড থেকে শ্যামসুন্দরপুর কমবেশি ৫০ কিমি। বেহালা, জোকা, আমতলা হয়ে ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে ফতেপুর থেকে ডানদিকে সোজা ফলতা থানা থেকে এক কিমি। ট্রেনে শিয়ালদা থেকে ডায়মন্ড হারবার লোকাল ধরে ডায়মন্ড হারবার স্টেশন। বাইরে। থেকে অটো, টোটো, ম্যাজিক গাড়ি পাওয়া যায়। দূরত্ব ২০-২২ কিমি। ভাড়া পড়ে মোটামুটি কমবেশি ২৫০-৩০০ টাকা।


কোথায় থাকবেন: শ্যামসুন্দরপুর অ্যাকোয়া রিট্রিট। ভাড়া- ৫০০০টাকা-১২% জিএসটি। প্রাতঃরাশ সৌজন্য অর্থাৎ ফ্রি। শনি, রবি, ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য দিনে ঘরভাড়া থেকে ১০% ছাড় দেওয়া হয়। যোগাযোগ: 08768008095.

Commenti


ssss.jpg
sssss.png

QUICK LINKS

ABOUT US

WHY US

INSIGHTS

OUR TEAM

ARCHIVES

BRANDS

CONTACT

© Copyright 2025 to Debi Pranam. All Rights Reserved. Developed by SIMPACT Digital

Follow us on

Rojkar Ananya New Logo.png
fb png.png

 Key stats for the last 30 days

bottom of page